চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৩৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা আগস্টের চেয়ে ১৫ কোটি ১২ লাখ ডলার বা সাড়ে ১২ শতাংশ বেশি। আর গেল অর্থবছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২০ লাখ ডলার বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) এ তিন মাসের হিসাবে রেমিট্যান্স কমেছে ১১ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর দুই ঈদের আগে প্রবাসীরা বাড়তি অর্থ পাঠান। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ ছাড়া, বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সে প্রেরণ উত্সাহিত হওয়ায়ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের আগে জুন ও জুলাইতেও প্রবাসীরা দেশে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। জুন মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৪৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আর জুলাইতে আসে ১৩৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। কিন্তু ঈদ-পরবর্তী মাস আগস্টে রেমিট্যান্স কমে যায়। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে মাত্র ১১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
গেল অর্থবছরও ঈদুল ফিতরের আগের মাস জুলাইতে রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড গড়েছিল। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। যা একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। কিন্তু এর পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। আবার ঈদুল আযহার কারণে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে প্রবাসীরা দেশে মোট রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৯৩ কোটি ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ কোটি ডলার কম। গেল অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৪০১ কোটি ১১ লাখ ডলার।
এ দিকে, সেপ্টেম্বরে বেসরকারি ৩৯ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার ও বিদেশী ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বরাবরের মতো সেপ্টেম্বরেও সবচেয়ে বেশি ৩৩ কোটি ৯৬ লাথ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে।