শিক্ষা উন্নয়নে কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতে বর্তমান সরকার সাফল্যের সাক্ষর রেখে চলেছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণে কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই)’ এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষা উন্নয়নে নেয়া সরকারের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ। ২০০৯ সাল এখন পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন বই বিতরণ করা হয়েছে। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানেও সরকার জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ২০২১ সালের মধ্যে পুরোপুরি ডিজিটাল করতে সরকার ২০১২ সালে ‘আইসিটি ইন এডুকেশন মাস্টারপ্ল্যান’ গ্রহণ করেছে।

সিআরআই’র তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৫ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচ হাজার তিনশো মাদ্রাসা ও আরো পাঁচশো বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম চালু করা হয়েছে। ২০০৯ সালের আগে এরকম কোন মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ছিল না। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ‘ভ্রাম্যমাণ গাড়ি’ প্রবর্তন করা হয়েছে; যা সারাদেশের শিক্ষকদের তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। প্রায় ২৩ হাজার সাতশো প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডিজিটাল শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি শেয়ার করছেন ‘টিচার্স পোর্টালে’। প্রায় তিন শতাধিক পাঠ্য বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন বের হয়েছে।

সবার শিক্ষা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য ৬১টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ২০১৫ সালে ব্রেইল পদ্ধতির বই চালু করা হয়েছে। ২০০৬ সালে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের হার ৫০ শতাংশের উপর থাকলেও বর্তমান সরকার তা কমিয়ে ১৯.৪ শতাংশ এনেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের টিফিন ব্যবস্থা করা হয়েছে যা স্কুল ফিডিং বা টিফিন প্রোগাম নামে পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ লাখ স্কুল শিশুকে খাবার প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়া এমডিজি’র অন্তর্ভুক্ত সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার প্রায় ৯৭.৩ শতাংশ । প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের সমান অংশগ্রহণও নিশ্চিত করেছে সরকার।