বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে চীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে সেই অঙ্গীকারই ব্যক্ত করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। শনিবার নিউ ইয়র্কে ওই বৈঠকটি হয় হোটেল ওয়ার্ল্ডফ অ্যাস্টোরিয়ায়। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে ওই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল কর্মসূচির সাইড লাইনে গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকটি করেন শেখ হাসিনা ও জিনপিং। বৈঠকে শেখ হাসিনা জানান তার সরকার চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৭৭৪ একর জমি বরাদ্দ দেবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির প্রশংসা করেন, আর বাংলাদেশকে চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেরা বন্ধুদের একজন বলে উল্লেখ করেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তির কথা স্মরণ করে জিনপিং বলেন, বাণিজ্য, অর্থনীতি, যোগাযোগ ও শিক্ষা খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আরও পাটজাত পণ্য আমদানি করার ঘোষণা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমান করিডর নির্মাণে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধাই নিশ্চিত হবে। শেখ হাসিনা এ সময় চীনা বাজারে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও আপটা রুলস অব অরিজিন শিথিল করার জন্য বলেন।
দুই নেতাই জাতিসংঘের বিভিন্ন পরিষদে দুই দেশের আরও বেশি বেশি অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন বলে জানান ইহসানুল করিম। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দীপু মনি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।