চ্যাম্পিয়ন অব বাংলাদেশ ইজ নাউ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ

লেখকঃ ডা. এস এ মালেক, কলাম লেখক।

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দৃঢ় নেতৃত্ব ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পেয়ে দেশের জন্য গৌরব অর্জন করলেন। আসলে তিনি যেভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত গভীর সংকট সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে উপলব্ধি করে তা মোকাবেলায় বিশ্বপরিসরে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন তা সত্য সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ যা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, খড়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা মোকাবেলা করে জনগণের জন্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সুনিশ্চিত করতে হলে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত তা শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক গ্রহণ করে চলেছেন। বিশ্বের যে কয়েকজন নেতা-নেত্রী এ ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসরমান এবং বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা তার মধ্যে অন্যতম। আন্তর্জাতিক ফোরামে জলবায়ু সংক্রান্ত প্রসঙ্গটি বারবার উত্থাপন করে তিনি যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছেন, জলবায়ু সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়- এই সংকট সমগ্র মানব জাতির। তারা যদি এখনই এই সংকট সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন না হয়, তাহলে বিশ্বের সব মানুষ এই সংকট থেকে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত থাকতে পারে না। গ্রিন হাউস গ্যাসের কথা এখন সবাই অবহিত আছেন। বিশ্বের যে সব উন্নত দেশ কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করে জলবায়ুতে পরিবর্তন আনছে, সে সব শিল্পোন্নত দেশেরই উচিত জলবায়ু সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলা করা।
জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তার যুক্তি তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সরবরাহের জোর আবেদন জানান। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিল্পোন্নত দেশসমূহ এ ব্যাপারে খুব বেশি সাড়া জোগায়নি। জাতিসংঘকেও এ ব্যাপারে খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এ বিষয়ে কথাবার্তা অনেক হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কারণ যে বৃহৎ শক্তিসমূহ এই গ্যাস উৎপাদন করে এবং বিশ্ব উষ্ণয়ন বৃদ্ধি করে তারা তা কমিয়ে আনতে আন্তরিক নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ব্যাপারে যদিও বেশ কিছু প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বাংলাদেশ অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবে শিল্পোন্নত দেশগুলো যারা কার্বন ডাই অক্সাইড সৃষ্টির জন্য দায়ী তাদের কাছ থেকে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সাহায্যের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রদত্ত সাহায্যের পরিমাণ খুব কম। তাই বাংলাদেশকে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে এগুতে হয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটি কম সামর্থ্যরে দেশ যার জনসংখ্যা ১৫৯ মিলিয়নের বেশি, তার জাতীয় বাজেট কাটছাঁট করে জলবায়ু মোকাবেলার জন্য প্রায় ৯শ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বার্ষিক বাজেটের ৬ শতাংশ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের মতো বরাদ্দ দিতে হয়েছে। এর মাত্র ২৫ ভাগ আন্তর্জাতিক সহযোগীরা বহন করবে। বাকি ৭৫ ভাগ বাংলাদেশকেই বহন করতে হবে। বাংলাদেশ এই অর্থকে শুধুমাত্র অতিরিক্ত বরাদ্দ বলে বিবেচনা করে না বরং উন্নয়ন তৎপরতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ ব্যাপারে ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে এবং পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। জলাভূমি, বন্য জন্তু ও বনাঞ্চলকে সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার সাংবিধানিকভাবে করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জলবায়ু সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলা করাকে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলেই মনে করে না বরং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সুনিশ্চিত করার জন্য বিষয়টিকে বর্তমান সরকার জাতীয় অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে একটা সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় হিসেবে গণ্য করে। শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রধান, যিনি ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই জলবায়ু সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলায় একের পর এক দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেভাবে বিশ্বে উত্তাপের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের ৭ ভাগের এক ভাগ মানুষ আগামী ২৫ বছরের মধ্য জলবায়ু সংক্রান্ত সৃষ্ট সংকটের কারণে তার নিজ বাসস্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য হবে। বিশেষ করে উপক‚লীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ¡াস, ঘূর্ণিঝর, বন্যা ও নদীভাঙনের কারণে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছর আবাসস্থল বঞ্চিত হচ্ছে। এসব মানুষ হয় ভাসমান না হয় শহরে গিয়ে বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ খুব কম কার্বন ডাই অক্সাইড এমিট করে। বিশ্বের উন্নত দেশের শিল্পোন্নয়নের কারণে আজ বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শিল্পোন্নত দেশের উচিত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশের সংকট মোকাবেলায় পর্যাপ্ত সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা প্রায় ১২ বছর দেশ শাসন করে যে করুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার আলোকে তিনি জলবায়ু সংক্রান্ত সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যাপারটি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশকে যদি প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলার জলবায়ু সংকট নিরসনে ব্যয় করতে হয় তবে তা সহনীয় বলে বিবেচিত হতে পারে না। আর প্রয়োজন যেখানে শত বিলিয়ন ডলারের সেখানে ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে কতটুকু সফলতা অর্জন করা সম্ভব? তাই জাতিসংঘের উচিত শুধু শেখ হাসিনাকে সম্মানিত করলেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। যে কারণে এই পুরস্কার প্রদান করা হলো তা নিরসনকল্পে বাংলাদেশের জলবাযু সংকট নিরসনে বিপুল অর্থ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে সার্থকভাবে সংকট মোকাবেলা করতে এগিয়ে আসা। তা না হলে আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক সপ্তম অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসনের জন্য অভিযাত্রী হতে বাধ্য হবে।
জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট কোয়াডিনেটর রবার্ট ওয়ার্ট কিংস তার রিপোর্টে বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু সৃষ্টি সংকটে চরম বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্য অন্যতম এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে গরিব স্বয়সম্বলহীন মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জলবায়ু সংক্রান্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতি বছর জিডিপি ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১.৮ ভাগ। শুধুমাত্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলোচ্ছ¡াসজনিত ক্ষতির পরিমাণ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলে অনেক বেশি। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ভাসমান অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। ২০৫০ সালের ভেতর জনসংখ্যার সাত ভাগের এক ভাগ মানুষ দেশ ত্যাগে বাধ্য হতে পারে। যাতে স্থানীয়ভাবে ইট তৈরি করতে কাঠ পোড়াবার কারণে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি মাত্রায় তৈরি না হয় সরকার ইতোপূর্বে সে জন্য সোলার এনার্জি তৈরি করে গ্রিড বহির্ভূত ১০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। এটা নিশ্চই জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সরকারের একটা বিরাট পদক্ষেপ। বাংলাদেশই প্রথম দেশ যে ক্লাইমেড চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে এবং সে ফান্ডে প্রায় নিজস্ব সম্পদ থেকে ৩শ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করা হয়েছে। প্যারিসে ডিসেম্বর সাসটেইনেবল গোলস-এ যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশই প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু জলবায়ু সংক্রান্ত পুরস্কার লাভ করেনি, শেখ হাসিনাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি ১৯৯৭ সালে ৪ জুলাই তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রিতে ভূষিত করে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারটি এবং যুক্তরাজ্যের ডানডি ইউনিভার্সিটি ১৯৯৭ সালে তাকে ‘ফিলসফি ইন লিবারেল আর্টস’-এ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৯১ সালের ২৮ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ‘বিশ্ব ভারতী’ তাকে ‘দেশিকোত্তম’ সম্মানে ভূষিত করে। দেশ ও সমাজে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার অসাধারণ অবদানের জন্য ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি তাকে ২০০০ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন। ২০০০ সালে ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটি শেখ হাসিনাকে মানবাধিকার বিষয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদান রয়েছে। এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তার উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেসকো তাকে ‘হফোয়েট-বোজনি’ (ঐড়ঁঢ়যড়ঁবঃ-ইড়রমহু) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেনস কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিলে মর্যাদাসূচক চবধৎষ ঝ. ইঁপশ ৯৯ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তার ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক সেরেস (ঈঊজঊঝ) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার তেরেসা’ পদক প্রদান করে। বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে ধর্মীয় স¤প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রসারে তার অবদানের জন্য নরওয়ের অসলোতে অবস্থিত মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে ‘গান্ধী পদক’ প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে চধঁষ ঐধৎরং ফেলোশিপ প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব তাকে ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ‘গবফধষ ড়ভ উরংঃরহপঃরড়হ’ পদক ও ১৯৯৬ -৯৭ সালে ‘ঐবধফ ড়ভ ঝঃধঃব’ পদক প্রদান করে। এ ছাড়াও তিনি ব্রিটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং দুবার সাউথ সাউথ পুরস্কার, নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ অথবা ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কার’ পেয়েছেন।
শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বাংলাদেশের সৃষ্টি তার পিতার এক মহান কৃর্তি। আর শেখ হাসিনার দায়িত্ব হচ্ছে সব সংকট মোকাবেলা করে সেই দেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।