বাংলাদেশ শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে গতকাল একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ১৯৯০ সালের তুলনায় শিশুমৃত্যুর হার দুই তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে যে ৬২টি দেশ, বাংলাদেশ তার একটি। যে দেশগুলো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে তার ২৪টি নিু ও নিু আয়ভুক্ত দেশ। অগ্রগতি প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি শিশুমৃত্যুর দেশ অ্যাঙ্গোলা। এ তালিকায় ৬১তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে এখন শিশুমৃত্যুর হার ৩৮, যা ১৯৯০ সালে ছিল প্রতি হাজারে ১৪৪ জন, যা ২০০০ সালে ছিল ৮৮। সামগ্রিকভাবে শিশুমৃত্যুর হার প্রতিবছরে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হারে কমেছে। তবে এখনো যত শিশু মারা যাচ্ছে তার বড় অংশ নবজাতক।
১৯৯০ সালে মোট শিশুমৃত্যুর ৪৪ শতাংশ ছিল নবজাতক, এখন এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশে। ‘কমিটিং টু চাইল্ড সারভাইভাল : এ প্রমিজ রিনিউড’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ বছর ধরে গোটা বিশ্ব শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনায় কাজ করেছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার এখন ৫৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। একই সময়ে নবজাতকদের মৃত্যুহার কমেছে ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত। তবে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক বলেছেন, এত অগ্রগতির পরও বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১১টি শিশু মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যু একটু চেষ্টা করলেই এড়ানো যেত। তিনি আরও বলেছেন, মায়েদের গর্ভকালীন সেবা থেকে টিকা ও পুষ্টি সেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে শিশুমৃত্যুর হার কমবে।