ছিটমহল উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা

সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপ

ছিটমহলে উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ১৭ হাজার ১০৭ একর ভূখণ্ডে বসবাসরত ৩৯ হাজার ৬৬২ জন অধিবাসীর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপে এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা। গতকাল বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় যৌথভাবে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ এই ভিডিও সংলাপ পরিচালনা করেন। এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতসহ পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন চার জেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশিরা। মুখ্য সচিব ছিটমহল উন্নয়নের কার্যক্রম দূত বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়ের পুটিমারী ছিটমহলে ২৬২টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে এসব বিদ্যুৎ সংযোগ। ইতিমধ্যে সাবেক ছিটমহলগুলোতে কমিউনিটি ক্লিনিক, অস্থায়ী প্রজননকেন্দ্র, নিরাপত্তা পুলিশ ফাঁড়ি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিজিটাল সাবসেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। নীলফামারীর একটি ছিটমহলে ৫০১ জন নাগরিকের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। হাটবাজার বসানোর জন্য ইতিমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে কৃষক কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের ১৯ হাজার ৯০৬ জন অধিবাসীর জন্য ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে ৮০৯ জনকে বয়স্কভাতা, ৫৩৩ জনকে বিধবাভাতা, ২২১ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ১৫ জনকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের ছিটমহলগুলোর ৪ হাজার ৮৬২ জন শিশু শিক্ষার্থীর সবাইকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়, ইতিমধ্যে পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহলের রাস্তাঘাট উন্নয়নে ২৭৪ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ এবং ৭৪ মিটার কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।