ইঁদুর নিধনে আকর্ষণীয় পুরস্কার

দেশে উৎপাদিত ঝাল পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও জিরা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। এর ফলে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে এ সব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন সহায়তা বাবদ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদাণ করছে। অন্যদিকে ফসলের ক্ষতিকারক ইঁদুর নিধনকারীদের আকর্ষণীয় পুরস্কারও দেওয়া হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম সংসদের সপ্তম অধিবেশনে মমতাজ বেগমের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত ঝাল পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও জিরা চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয় যার ফলে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে এ সকল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদন সহায়তা বাবদ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদাণ করছেন। এ সব ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে ক্রমাগত উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

কুমিল্লা-৯ আসনের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ইঁদুর কর্তৃক ফসলের ক্ষতি রোধের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণকে অবহিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রতি বছর সারা দেশে এক মাস ব্যাপী জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে।

ইঁদুর নিধনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এক মাস ব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে কৃষক, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে জাতীয়, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা, সেমিনার, র‌্যালি, প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোস্টার, বুকলেট তৈরিসহ সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারী কৃষক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রায় ২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ‘ফসলের জন্য ক্ষতিকর মেরুদণ্ডী প্রাণীর গবেষণা জোরদারকরণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনিষ্টকারী মেরুদণ্ডী প্রাণির দ্বারা ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।