বিশ্বসেরা ২ পোশাক কারখানা

একটির নাম প্লামি ফ্যাশন, অন্যটি ভিনটেজ ডেনিম। প্রথমটি নারায়ণগঞ্জে, দ্বিতীয়টি পাবনার ঈশ্বরদীতে। পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরির কারখানা হিসেবে এগুলো এখন বিশ্বমডেল। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিবিসির লিড সনদ পেয়েছে এরা। লিখেছেন মুকুল মল্লী ও আনোয়ারুল আলম রঞ্জু। ছবি তুলেছেন নাভিদ ইশতিয়াক তরু

প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড

জ্বালানির কম ব্যবহার ও পরিবেশগত উচ্চ মান রক্ষা করে কারখানা গড়ে তুললে ইউএসজিবিসির (ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল) লিড সনদ পাওয়া যায়। লিড সনদ হলো ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’। এ পর্যন্ত পৃথিবীর মোটে চারটি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম লিড পেয়েছে, দুটিই বাংলাদেশে। উপরন্তু প্লামি পেতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ নম্বর। লিড সনদের মোট নম্বর ১১০। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৯০। প্লামি আশা করছে, তারা পাবে ৯২।

প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড পোশাক তৈরির কারখানা। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে চার কিলোমিটার পেরোলে কাশীপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর। গেদ্দের বাজারের কাছে কারখানাটি। সাদামাটা গেট পেরোলে বাম পাশে দেখা যায় বাইসাইকেল রাখার ছাউনি। ছাউনির সামনেই গোসলখানা। শ্রমিকরা সাইকেল চালিয়ে এলে ঘেমে যায়, তখন এই গোসলখানা কাজে লাগে। আরো কিছুটা পথ গেলে মূল কারখানার সামনে একটা প্রাকৃতিক লেক। ডান পাশে কর্মকর্তাদের কার্যালয়। কার্যালয়ের ভেতরে যতটা সম্ভব সবুজ রাখা হয়েছে। প্লামির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হকের দেখা পেতে একটু সময় লাগল। তিনি কারখানাটি ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে বিস্তারিত জানালেন। মোট ছয় একর জমির ওপর এ কারখানা। গত বছরের এপ্রিলে নির্মাণকাজ শুরু হয়। অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে, এখন চলছে সাজানো-গোছানোর কাজ। বললেন, ‘আমরা ৫২ শতাংশ খোলা জায়গা রেখেছি। এটি পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরির অন্যতম শর্ত। দোতলা ভবনটি ৫৮ হাজার বর্গফুটের। ইস্পাতের তৈরি। ৯০ শতাংশ নির্মাণ উপকরণ দেশীয়। ভবনটির তিন পাশে লম্বা বারান্দা। আলো-বাতাস চলাচল সুবিধার জন্য আছে ২৪৭টি কুলার ও ৬০টি একজস্টার। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ওঠানামার সিঁড়ি পাঁচটি হলেও বের হওয়ার দরজা ১১টি। যেন দুর্ঘটনা ঘটলে সহজেই শ্রমিকরা কারখানা ত্যাগ করতে পারে।’ ফজলুল হক জানালেন, কারখানার বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। কারখানার মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯ লাখ ২০ হাজার পিস পোশাক। ভবনের ওপরতলায় কাজ চলবে দিনের আলোতে, এতে সাশ্রয় হবে প্রায় ৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। কারখানায় বসানো হয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তির সেলাই মেশিন যা বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। এক হাজার ২০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। ভবনটিকে ঘিরে রয়েছে বড় বড় পাইপ। বৃষ্টির পানি ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে জমা হবে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংকিতে। এই পানি ব্যবহৃত হবে বাথরুমের ফ্ল্যাশিং ও অগ্নিনির্বাপণ কাজে। ইউএসজিবিসির পর্যবেক্ষণে থাকে-কত কম বিদ্যুৎ খরচ করা হয় এবং কত কম পানি খরচ করা হয়। সব মিলিয়ে পরিবেশ কত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

লিড শর্তপূরণে প্লামি

বিদেশি ক্রেতারা এবং দেশি শ্রমিকরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানার পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে। দুর্ঘটনার পেছনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটিই প্রধান কারণ। সেদিক থেকে প্লামি ফ্যাশন নমুনাই বটে। ইউএসজিবিসির সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। ফজলুল হকের দাবি, তাঁরা ইউএসজিবিসির নিয়ম-কানুন শুরু থেকেই মেনে চলছেন। তিনি বলেন, ‘লিড সনদের ১১০ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর-কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ওপর হুমকি তৈরি না করার জন্য। যেমন ধরুন বাংলাদেশে যদি সোনারগাঁর পানাম নগরে ফ্যাক্টরি করা হয় এবং ভবনগুলোর ওপর কোনো হুমকি না তৈরি হয় তবে পাবেন ১২। এ ১২ নম্বর প্লামির আওতার বাইরে। বাকি থাকছে ৯৮। এর মধ্যে প্লাটিনাম পাওয়ার জন্য দরকার ৮০ নম্বর। আমরা পেতে যাচ্ছি ৯২। এটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে পৃথিবীর প্রথম প্লাটিনাম সার্টিফিকেটধারী কারখানা হতে যাচ্ছে আমাদের প্লামি ফ্যাশন লিমিটেড।’ তিনি আরো বলেন, ‘লিড প্লাটিনামের শর্ত হচ্ছে এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে, যাতে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। ইট, বালি, সিমেন্ট এগুলো রি-সাইকেলড ‘র’ মেটেরিয়াল হতে হবে। আমরা সেগুলো করেছি। এমনকি সব উপকরণ কারখানার সবচেয়ে কাছের প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করেছি। এতে পরিবহনের জ্বালানি খরচও কম হয়েছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী নির্মাণ উপকরণের ৯০ শতাংশই দেশীয় ব্যবহার করেছি। এ ছাড়া প্লাটিনাম পাওয়ার অন্যতম মূল শর্ত হলো ৫০০ বর্গমিটারের মধ্যে শ্রমিকদের থাকার জায়গা বাসস্থান, স্কুল, বাজার, বাস বা টেম্পো স্ট্যান্ড থাকতে হবে। কারণ দূরে হলেই শ্রমিকদের কারখানায় আসতে গাড়ির প্রয়োজন হবে। এতে জ্বালানি খরচের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হবে। এ ছাড়া আমাদের রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল-মোট বিদ্যুতের ১৩ শতাংশ এখান থেকে।’ মূল কারখানা ভবনের সামনেই লাগানো হয়েছে দেশীয় গাছপালা। আছে প্রাকৃতিক লেক ও ফোয়ারা। ফোয়ারার আরেক পাশে আছে অত্যাধুনিক গুদাম ঘর। শ্রমিকদের গুদামে মাথায় করে বস্তা নিতে হবে না, লিফটে করে বস্তা উঠবে, নামানোর সময় স্লাইডে ছেড়ে দেবে। ৩৩ হাজার বর্গফুটের এই গুদামটি তিন তলাবিশিষ্ট।

কারখানার মোট বিদ্যুতের ১৩ শতাংশ আসবে এই সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল থেকেপরিবেশবান্ধব কারখানা শ্রমিকবান্ধবও

সব মিলিয়ে প্লামিতে দুই হাজার লোকের কাজের সুযোগ হবে। কারখানার বাইরে বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে শ্রমিকদের জন্য দুই তলাবিশিষ্ট লাইফস্টাইল সেন্টার। এখানে শ্রমিকদের জন্য আছে ডাইনিং ও শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার। ফলে মা-শ্রমিকরা বাড়িতে রেখে আসা শিশুর জন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না। আছে চিকিৎসাকেন্দ্রও। লাইফস্টাইল বিল্ডিংয়ের ওপরের তলায় নামাজঘর ও প্রশিক্ষণ কক্ষ। একসঙ্গে ২০০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে। শ্রমিকের বেতন-ভাতা সম্পর্কে ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় যত গার্মেন্ট আছে এবং প্রচলিত যে বেতন কাঠামো রয়েছে, তার চেয়ে বেশি। শ্রমিকদের জন্য ডাইনিং ফ্যাসিলিটি দিয়েছি-যেটা বাংলাদেশের অনেক ফ্যাক্টরিতেই নেই। একটা বিনোদনকক্ষ আছে, সেটা এখনো চালু করিনি, দ্রুতই চালু করব, টেলিভিশনসহ বেশ কিছু খেলার সামগ্রী থাকবে-মোটকথা ক্লাবের মতো থাকবে, শ্রমিকরা টিভি দেখবে, ক্যারম বোর্ড খেলবে, লুডু খেলবে।’

ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও

১১০ নম্বরের মধ্যে ভিনটেজ ডেনিম পেয়েছে ৯০। ২০১২ সালে ইউএসজিবিসি কারখানাটিকে প্লাটিনাম সনদ দেয়। বাংলাদেশের এবা গ্রুপের এ কারখানা ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ইপিজেডে)। ৯.২ একর জমির ওপর গাছগাছালি ঘেরা ভিনটেজ ডেনিম। ১৯টি প্লটে চার লাখ ৭১ হাজার বর্গফুটের মধ্যে দুই লাখ ৯৮ হাজার বর্গফুটজুড়ে নির্মিত স্টিল কাঠামোর ভবন। ৩০ শতাংশ জায়গা বিনোদন, খেলার মাঠ, চলাচলের করিডর ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য ছেড়ে দেওয়া। সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে গড়ে তোলা কারখানাটিতে স্থায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার বা ১৪০ কোটি টাকা।

পরিবেশবান্ধব ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিওপরিবেশবান্ধব ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও
কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রীলঙ্কান দুমিন্দা মালগালা শুরু থেকেই সচেতন ছিলেন। তিনি ঝামেলামুক্ত জমি খুঁজে বের করেছেন। চাইছিলেন যেন নির্মাণের ৩০ শতাংশ উপকরণ স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায়। ঈশ্বরদী ইপিজেড কর্তৃপক্ষ তাঁর চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসে। এরপর ইউএসজিসিবির পরামর্শকের তত্ত্বাবধানে ২০১০ সালে এটি যাত্রা শুরু করে।

একতলা কারখানা ভবনটির নকশা এমনভাবে করা হয়, যেন দিনের বেলায় শতভাগ সূর্যের আলো ব্যবহার করা যায়। স্টিলের কাঠামোর ভবনটির ছাদ তাপ শোষণ না করে বিকিরণ ঘটায়। ছাদের কোথাও কোথাও আলো প্রবেশের জন্য স্বচ্ছ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে কারখানার ভেতরভাগ অপেক্ষাকৃত শীতল। এ ছাড়া বিদ্যুৎসাশ্রয়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার কারখানার ভেতরে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখে। কারখানার দেয়ালেও বড় বড় কাচের জানালা রয়েছে। এখানে স্থাপন করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল। যার মাধ্যমে বছরে প্রায় দেড় লাখ কিলো ভোল্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এই বিদ্যুৎ ইনভেন্টরের মাধ্যমে নিজেদের গ্রিডে যোগ করা যায়। ১৩ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে সোলার প্যানেল থেকে। ভবন ধসার শঙ্কা নেই, আগুন লাগলে শ্রমিকদের বের হওয়ার পথও উন্মুক্ত।

প্রতিটি সেলাই মেশিনে আছে একটি ছোট এলইডি টেক্সট বাল্ব। যেটি শুধু মেশিনের সুঁইয়ের ওপর আলো ফেলে। কারখানাটির বর্জ্য শোধনের জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে প্রতি ঘণ্টায় ৭০ হাজার লিটার পানি পরিশোধন করা যায়। কারখানাটি পানি বিশুদ্ধ করার জন্য সর্বোচ্চ মান অনুসরণ করে। প্রতিষ্ঠানটি নানাভাবে ৫৩ শতাংশ পানি সাশ্রয় করে।

কারখানার দেয়ালে অর্গানিক রং ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে সব জায়গা থেকেই সবুজ দেখার সুযোগ আছে শ্রমিকদের।

 

প্লাটিনাম নম্বরপ্রাপ্তি

জমির ভৌগোলিক অবস্থানে ২৬-এর মধ্যে ২৩, পানির পর্যাপ্ততা দশে দশ, বিদ্যুৎপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় ৩৫-এ ২৮, নির্মাণসামগ্রীকে ১৪-এর মধ্যে ৬, অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত অবস্থা ১৫-এর মধ্যে ১৩, অতি সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত যন্ত্রের ব্যবহারে ৬-এ ৬, এলাকাভিত্তিক প্রাধ্যান্যতা ৪-এ ৪। কারখানাটি ৪৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, ৫৩ শতাংশ পানি। কারখানার বর্জ্য নিজ খরচে নিরাপদ স্থানে ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে।

কারখানায় ব্যবহার করা পানি পুনরায় ব্যবহারের জন্য পরিশোধন করা হচ্ছেউৎপাদন কার্যক্রম

এখানে দুই হাজার ৫৬৬ জন শ্রমিক। ৮৫ শতাংশই নারী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। দুই ঘণ্টা ওভারটাইম করার সুযোগ আছে। প্রতিদিন ২০ হাজার পিস পণ্য উৎপাদন হয়। বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছয় লাখ পিস। ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিওর প্রধান গ্রাহক আমেরিকার ঈগল, বেস্টসেলার, চিবো, জুল, প্রমোদ ইত্যাদি। ঈশ্বরদীর সাহাপুরের নারী শ্রমিক নিপা বলেন, ‘তিন বছর ধরে এখানে কাজ করছি। পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা ভালো। আগে অন্য কারখানায় কাজ করেছি, কিন্তু সেগুলোর পরিবেশ অত ভালো নয়। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যেতাম। প্রতিটি কারখানা এ রকম পরিবেশবান্ধব হওয়া খুবই জরুরি। এতে শ্রমিক ও পরিবেশ ভালো থাকে; বিদ্যুৎ, পানিও সাশ্রয় হয়।’

 

শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি ও সুযোগ-সুবিধা

কারখানাটির বেশির ভাগ শ্রমিক আশপাশের এলাকার। শ্রমিকরা মাসিক চুক্তির পরিবহনে কারখানায় আসে। তাদের মজুরি দেওয়া হয় ইপিজেডের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী। একজন অপারেটর মাসে সাত থেকে আট হাজার টাকা আয় করে। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারে। কারণ শ্রমিকরা নিজের বাড়িতে থাকে বলে বাসা ভাড়ার প্রয়োজন হয় না। নিজের জমির ধান, বাড়ির সবজি, পুকুরের মাছ খেয়ে তাদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। কারখানাটিতে নিয়মিত কাজ করলে শ্রমিকরা ৪০০ টাকা হাজিরা বোনাস পায়। ১১ দিনের জায়গায় শ্রমিকদের বছরে ১৫ দিন উৎসব ছুটি দেওয়া হয়। অসুস্থ থাকলেও পূর্ণ বেতন দেওয়া হয়। চাকরির বয়স ১৮০ দিন না হলেও উৎসবের সময় শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়। নববর্ষে শ্রমিকদের এবং সন্তান হলে মা-বাবাকে উপহার দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে জন্মদিনের উপহারও পায় শ্রমিকরা। শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়, যার সব খরচ প্রতিষ্ঠানটি বহন করে। খেলাধুলার ব্যবস্থা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।