বর্জ্যরে মাঝেই জ্বলুক আলো

বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে অনেকেই বলে থাকে। কথাটা একদম মিথ্যাও না। তবে কতটা দ্রুত তা দেখার বিষয়। বিশ্ব অর্থনীতির বিশ্লেষণে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জাইকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থাসমূহের জরিপকৃত ফলাফলে দেখা যায় বর্তমান বিশ্বে প্রথম দশ ইকোনমিক টাইগারে রূপান্তরিত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। তাই হয়তো বলা যেতেই পারে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যাষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির বিবেচনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে যাওয়ার।

স্বপ্ন দেখতে তো মানা নেই। স্বপ্ন বাস্তবায়নে যত প্রতিক‚লতা। সরকার ক্ষমতায় এসেই দেশের মানুষকে অন্ধকার থেকে মুক্তি দিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দেয়। ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১০’ প্রণয়ন করে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ‘ইমার্জেন্সি পাওয়ার এন্ড এনার্জি সাপ্লাই এ্যাক্ট’ পাস করে জাতীয় সংসদে। বিশেষত পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রকল্প যেমন সূর্য, বায়ু, পানি ও বর্জ্য- এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। তাছাড়া পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগও পাওয়া সহজ হয়। এ ব্যাপারে ৪ জুন, ২০১২ সালের মন্ত্রিপরিষদ সভায় এ বিষয়টির ওপর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার যথাযথ নির্দেশও প্রদান করা হয়। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি তেল, কয়লা, গ্যাস, নিউক্লিয়ার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আন্তঃদেশীয় সংযোগসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় কম। ফলে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো দূরে। কিন্তু এ স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হতে পারে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি। এতে একদিকে বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও সুন্দর পরিবেশের যেমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব, তেমনি দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কিছুটা হলেও বিদ্যুতের ঘাটতিও লাঘব করা সম্ভব হবে।

বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ দহনে গ্যাস উৎপাদন এবং গ্যাস থেকে টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি নিরাপদ পদ্ধতি। পূর্বে ব্যবহৃত বায়োডোম পদ্ধতির ব্যবহার অনেকটা কমে গিয়ে এর পরিবর্তে ল্যান্ডফিল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। গাজন পদ্ধতিতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। বর্জ্য থেকে গ্যাস তৈরির জন্য জাপান, চীন ও ভারতে বর্জ্য পদার্থগুলো তরলে পরিণত করা হয়। এটা করা হয় স্মেল্টিং ও ইবারা ফ্লুইডাইজেশন পদ্ধতিতে। পরে তা থেকে থার্মোসিলেক্ট জেএফই গ্যাসিফিকেশন প্রক্রিয়ায় গ্যাস বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। গ্রিসের পেত্রা শহরে পরিত্যক্ত তরল থেকে প্রতিদিন ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এবং ২৫ কিলোওয়াট তাপশক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। বর্জ্য থেকে ফার্মেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়ায়ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এতে বর্জ্যরে সেলুলোজ বা অন্য জৈব পদার্থ থেকে ইথানল তৈরি হয়। তবে বর্জ্যরে মধ্যে চিনি বা চিনি জাতীয় পদার্থ থাকলে তা থেকে তৈরি হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড ও এলকোহল। সাধারণত ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বায়ুর অনুপস্থিতিতে। সেখানে এস্টারিফিকেশনও ঘটতে পারে এবং তৈরি হতে পারে বায়োডিজেল। পরে পাইরোলাইসিস বা তাপীয় বিয়োজনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় মিথেন বা ইথেন গ্যাস। পরে গ্যাস থেকে টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়। বর্জ্য সংরক্ষণ, নিষ্কাশন ও পুনর্ব্যবহার উপযোগী করে দেশকে একদিকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব, অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ঘাটতিও হ্রাস করা সম্ভব। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। যদিও দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবে সে প্রকল্পগুলো আছে ফাইলবন্দি হয়ে।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরকে বেছে নেয়া হয়েছিল। আজ থেকে তিন বছর আগে বেশ জোরেশোরেই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। অনেক আশার কথাও ব্যক্ত হয়েছিল। উদ্যোগটা ছিল চমৎকার। বিদ্যুৎ স্বল্পতার কারণে যেখানে অনেক মিল-কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, সেখানে ফেলে দেয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সময়ের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে তিন বছর পরও প্রকল্পগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এখনো পরিকল্পনার মধ্যই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। তবে খুশির সংবাদ হয়তো এটাই, পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়া হয়নি। এখনো আছে।

ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনা রাজধানীর আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে ফেলা হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই বর্জ্যরে পরিমাণ। জাপানি বিশেষজ্ঞ দলের ধারণা অনুযায়ী ২০১৬ সালে এই ল্যান্ডফিল্ডগুলোতে আর বর্জ্য ফেলা যাবে না। তখন অন্যত্র জায়গা খুঁজতে হবে। কিন্তু ঢাকার আশপাশে এত খালি জায়গা কোথায়? আর এই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না করা হলে, মহাবিপাকে যে পড়তে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ঢাকা শহরে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্য বিগত ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইতালির ম্যানেজমেন্ট এনভায়রনমেন্ট ফিন্যান্স ‘এসইএল’ কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চুক্তির মেয়াদ বিশ বছর। প্রকল্পটিতে ইতালিয়ান কোম্পানিটি ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছিল। দুই সিটি কর্পোরেশনকে কোম্পানিটি বছরে ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা প্রদান করবে। তবে প্রতি পাঁচ বছর পর পর লিজের টাকার পরিমাণ ২০ ভাগ হারে বৃদ্ধি করার কথাও ছিল। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্যে উত্তরের আমিনবাজার এবং দক্ষিণের মাতুয়াইলে পৃথক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার কথা কোম্পানিটির। প্রাথমিকভাবে এই দুই কেন্দ্র থেকে ২৪ মেগাওয়াট করে মোট ৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে এ প্রকল্প থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশাও করা হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ১ম পর্যায়ে ১৮ মাসে দৈনিক ১৩০০ টন বর্জ্য ব্যবহার করে ৫ মেগাওয়াট, ২য় পর্যায়ে ২৪ মাসে দৈনিক ১৬০০ টন বর্জ্য ব্যবহার করে ১২ মেগাওয়াট এবং ৩য় পর্যায়ে ৩৬ মাসে দৈনিক ২৩০০ টন বর্জ্য ব্যবহার করে ২৪ মেগাওয়াট বা তদূর্ধ্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা। প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। চুক্তিতে বলা হয়েছিল প্রকল্পটির বর্জ্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন জোগান দেবে আর তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে কোম্পানিটি। এমনটাই চুক্তি হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল এবং সেই উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সরকার কিনে নেবে কিলোওয়াট প্রতি ৮ দশমিক ৭৫ টাকা দরে এবং প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে থাকবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

চুক্তি-পরবর্তী এক বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কাজ এখনো শুরু হতে পারেনি। মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ডে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য ল্যান্ডফিল্ডের ভেতর ৩০ একর জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিসিসি ওই এলাকায় সর্বোচ্চ ৮ একর জমি দিতে রাজি। এ জমি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অপ্রতুল। ফলে জমি সংকটই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখানে আরো একটি বিষয় রয়েছে। আর তা হলো বিদ্যুতের পাশাপাশি আবর্জনা থেকে জৈব সারও উৎপাদিত হবে বছরে ৯ লাখ টন। শাক-সবজি, ধানসহ কৃষি উৎপাদনে এই জৈব সার ব্যবহৃত হবে। সামনে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশুর হাট ইজারার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় আয় হয়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন আয় করলেও তার সুফল নগরবাসী পায় না। কুরবানি করার পর দ্রুততম সময়ে পশু বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর কাম্য হলেও এ ক্ষেত্রে সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনার অভাব থাকে। বন্ধ থাকা ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া অপরিহার্য। এতে পবিত্র কুরবানির পশুর রক্ত ড্রেনের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে। ঈদের আগের দিন পশুর হাটও অনেকটা খালি হয়ে যায়। সে সময় হাটগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হলে বর্জ্য অপসারণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যায়। দেখা যায়, কুরবানির পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও বর্জ্য অপসারণ শুরু হয় না। যখন পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে, তখন অপসারণ শুরু হয়। কিন্তু কুরবানির পশুর বর্জ্য অন্যান্য বর্জ্যরে মতো নয়। বরং এর মাধ্যমে কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন সম্ভব।

কুরবানির পশুর চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি, রক্ত, চর্বি, পিত্ত বা চামড়ার উচ্ছিষ্ট অংশ- এসব উচ্ছিষ্টের শতভাগ রপ্তানিযোগ্য। সাধারণ মানুষ রপ্তানিযোগ্য এসব উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে সচেতন না থাকার কারণে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হারাচ্ছে রপ্তানি বাজার। কুরবানির পশুর হাড় দিয়ে তৈরি হয় জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ক্যাপসুলের কভার, নাড়ি দিয়ে অপারেশনের সুতা, রক্ত দিয়ে পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের খুর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ক্লিপ ইত্যাদি। অর্থাৎ গরু-খাসির সব অংশই মানুষের কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়। পশু জবাইয়ের পর একটি মাঝারি আকারের গরু থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি হাড় ফেলে দেয়া হয়। আর এই হাড় সংগ্রহ করে প্রতিদিন ব্যবসা হয় অন্তত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। নাড়িভুঁড়ি বিক্রি হয় আরো অন্তত ১২ লাখ টাকার। হাড়গোড় দিয়ে ওষুধ, বোতাম আর ঘর সাজানোর নানা উপকরণ তৈরি হয়। এ ছাড়া নানা দেশেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় নাড়িভুঁড়ি। এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। এতে করে যেমনি বর্জ্য নিষ্কাশনও হবে আর এর বিপরীতে রপ্তানিও বাড়বে।

মূলত পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। এই সেক্টরে যেভাবেই চাওয়া হোক কাজ সম্ভব। আর তা অপরিহার্য। সময়ের দাবি মেটাতে, উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাতে সরকারকে অবশ্যই বিষয়টিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আবু তাহের : লেখক।