সৌরশক্তির আলোয় আলোকিত হচ্ছে চট্টগ্রাম

৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়কবাতি জ্বালাতে ব্যবহার করা হবে সৌরশক্তি। সূর্যের আলো দিয়ে নগরীতে প্রায় অর্ধলক্ষ সড়কবাতি জ্বালানো সম্ভব। এতে সিটি করপোরেশনের সাশ্রয় হবে অন্তত তিন কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে নগরীর ১৪টি সড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকার প্রায় ২০০ বাতি জ্বলবে সৌরশক্তি ব্যবহার করে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫০ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৫০ কোটি টাকাই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে চসিকের আওতাধীন এ প্রকল্পের কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুল হক বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে এ প্রকল্পে ৫০ কোটি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা পেতেই শেষ হয়ে যায় প্রকল্পের মেয়াদ। এ বছরের জুন মাসে সংস্থাটি টাকা ছাড় করে। তাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে নগরীর সড়কে বাতিগুলো জ্বালানো গেলে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সড়কবাতিগুলো সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১১ সালে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ৫ বছর। ব্যয় ধরা হয় ৫০ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মনজুর আলমের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের দ্বারস্থ হন। সিটি করপোরেশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব সংস্থাটির কাছে পাঠানো হলে তারা ৫০ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে ৫ বছর এ অর্থ ছাড় দেয়া থেকে বিরত থাকে এডিবি। এ কারণে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। গেল জুন মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এ প্রকল্পের ৫০ কোটি টাকা ছাড় দেয়। টাকা ছাড় পাওয়ায় হালে পানি পায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে সড়ক বাতি জ্বালানো প্রকল্প। তাই আগামী মাস থেকেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পের অধীনে নগরীর টাইগারপাস এলাকা, ইস্পাহানি রোড, ওয়াসা মোড়, জিইসি মোড়, হালিশহর এলাকা, একে খান রোড, ইপিজেড, সিমেন্ট ক্রসিং, ফিরিঙ্গিবাজার-কর্ণফুলী সেতু, বারেক বিল্ডিং রোড, বাদামতলী, বন্দর সংযোগ সড়ক, মোমিন রোড এবং সাগরিকা রোডের মোট ১৯৫টি বাতি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।