নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার আট ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বিশেষ করে নদী এলাকা চরাঞ্চলে ও উঁচু জমিতে এই ফসলের বেশি চাষাবাদ হয়েছে। সরজমিনে বদলগাছী উপজেলা মথুরাপুর, বালুভরা, আধাইপুর, ও বদলগাছী ইউনিয়ন ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে। আধাইপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ ইউনুছার রহমান বলেন পাট চাষে খরচ অনেক বেশি বাজারে কয়েক বছর থেকে পাটের দামও ভাল না থাকায় পাট চাষাবাদ করা আমরা অনেক কমিয়ে দিয়েছি। আগে আমি দুই তিন বিঘা জমিতে পাট চাষাবাদ করতাম আর এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি এবং এ বছর পাটের ফলনও ভালো পেয়েছি বর্তমান বাজারে পাটের দামও ভাল রয়েছে তাই এ বছর মনে হয় আমরা কিছু লাভের মুখ দেখবো। তিনি আরও বলেন চরাঞ্চলে ধান চাষাবাদ করা যায় না। তাই তারা পাটসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদ করে আসছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২৫০ হেক্টর জমিতে কিন্তু অর্জিত হয়েছে দুই হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশিয় জাতের পাট রয়েছে একশত হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে চাষাবাদ কম হয়েছে দুইশত ২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কৃষক পাট তুলতে শুরু করেছে। বর্তমান পাট চাষে খরচ বেশি হওয়ায় এলাকার কৃষকরা পাট চাষাবাদ না করে অধিক লাভের আশায় সবজি চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। অপরদিকে বদলগাছী হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজরে নতুন তোষা জাতের পাট বিক্রয় হচ্ছে এক হাজার চারশত টাকা থেকে এক হাজার আটশত টাকা পর্যন্ত মণ দরে। তাই এবছর কৃষকরা নতুন পাটের বাজার দর ধান ও গমের দামের থেকে বেশী হওয়ায় এলাকার পাট চাষীদের মুখে একটু হলেও হাসি ফুটেছে। বদলগাছী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রাহেলা পারভীন বলেন চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে। তিনি আরও বলেন এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টিপাত হওয়ায় এলাকার কৃষকদের পাট কেটে জাগ দেয়ারও কোন সমস্যা হয়নি। অপর দিকে এবার পাটের দামও বাজারে ভাল রয়েছে। এবং শেষ পর্যন্ত বাজার দর ভাল থাকলে আবারও এলাকার কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে জানান।