ভাঙন রোধে রামগতিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী

মেঘনা নদী পাড়ের উপজেলা রামগতি, দীর্ঘ চার দশক ধরে ভাঙছে এ জনপদ। বিলীন হয়ে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। তবুও যেন রক্ষা নেই। ভাঙনের মুখে পড়েছে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এতে করে ফিরে আসে স্বস্তি। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে মেঘনা পাড়ের রামগতি উপজেলার মানুষ।

রামগতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে আলেকজান্ডার বাজার সংলগ্ন ১ কি.মি. বাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। পরবর্তীতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ৩ দশমিক ৫ কি.মি. বাঁধ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও পাঁচ মাসে করা হয় এক বছরের কাজ। ছয় লাখ বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে মেঘনা নদীতে, দেয়া হয়েছে ব্লক।

স্থানীয়রা জানায়, সেনাবাহিনী নদী ভাঙন রোধে কাজ না করলে চলতি বর্ষা মৌসুমেই আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক, রামগতি উপজেলা কমপ্লেক্স, আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ, আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা ও আলেকজান্ডার বাজারসহ অনেক প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে যেতো। সেনাবাহিনীর কাজে আমাদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছে।

সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর হোসেন জানান, সরকারের নির্দেশনা ও সার্বিক সহায়তায় সেনাবাহিনী দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এসডব্লিউ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ওহাবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউনিটের সৈনিকরা পাঁচ মাসে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার বাঁধের ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ভাঙন রোধে ৩৭ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বরাদ্দ হওয়া অর্থে ৫ দশমিক ৫ কি.মি. বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের বরাদ্দ পেতে চেষ্টা চলছে। বরাদ্দ এলে জনগণের দাবি অনুসারে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজ করা হবে।