সংবাদপত্র-টিভির ইন্টারনেট সংস্করণেরও নিবন্ধন লাগবে

নীতিমালার খসড়া

ইন্টারনেট সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি যেসব সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওর অনলাইন সংস্করণ রয়েছে, তাদেরও আলাদাভাবে নিবন্ধন নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে সরকার। ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৫’র এই খসড়ার ওপর আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সবার মতামত নেবে তথ্য মন্ত্রণালয়।
শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোর সম্পাদকদের নিয়ে আলোচনা করে এই নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ। তিনি সোমবার বলেন, ‘আমরা অনলাইনগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে এনে আরও গতিশীল করতে চাই। অনলাইন সংবাদপত্রের সঙ্গে সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং রেডিওগুলোর অনলাইনও নিবন্ধনের আওতায় আসবে।’ তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে ভুরি ভুরি অনলাইন সংবাদপত্র গড়ে উঠলেও তাদের তদারকির কোন ব্যবস্থা এখনও হয়নি। এসব সংবাদপত্রের অধিকাংশই নামমাত্র বলে অভিযোগ রয়েছে।
তথ্যসচিব বলেন, বিদ্যমান অনলাইন গণমাধ্যমের মধ্যে কোনগুলো নিবন্ধন পাবে, তা বিধিমালার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সব অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, আর্থিক সঙ্গতি, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
‘কাগজ বা সম্প্রচারের জন্য নিবন্ধিত, ডিক্লারেশন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকে অনলাইন প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচারের জন্য নিবন্ধিত হতে হবে।’
এসব অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার স্বতন্ত্র আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করবে উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, এতে নিবন্ধন পদ্ধতি, যোগ্যতা-অযোগ্যতা ও বাতিলের বিধান রাখা হবে। ‘তবে এই আইন বা বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। শীঘ্রই এই দায়িত্ব কমিশনের ওপর ন্যস্ত করবে।’
খসড়া নীতিমালার আটটি অধ্যায়ে পটভূমি, নিবন্ধন, তথ্য-উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার, বিজ্ঞাপন, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারের অনুপযুক্ততা, কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।