৩৫০ ডাক্তার পদোন্নতি পাচ্ছেন

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৩৫০ চিকিৎসকের পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গতকাল বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুুরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার ও বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. এসকে রায়। আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলা পরিদর্শন করেন। প্রসঙ্গত, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১ থেকে ৭ আগস্ট পালিত হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
পদোন্নতির পর চিকিৎসকদের রাজধানীর বাইরে সেবা দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যারা পদোন্নতি পাবেন তাদের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে বদলি করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় কর্মরত আছেন এমন চিকিৎসকদের স্বেচ্ছায় রাজধানীর বাইরে বদলি হওয়ার আবেদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর ফলে আইসিইউর জন্য গ্রামের মানুষকে আর ঢাকায় আসতে হবে না। জেলা হাসপাতালগুলোকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হবে।
মোহাম্মদ নাসিম মাতৃদুগ্ধ পানে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যেন তারা সন্তানদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহ জোগাতে পারেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে অতি আধুনিকতার নামে অনেকেই বিপথে চলে গিয়ে মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তাদের মধ্যে সন্তানদের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা অনেক কমে আসে। এজন্য এ প্রজন্মকে সচেতন করতে অভিভাবকদের সচেষ্ট হতে হবে।
কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর সুবিধার্থে দেশের সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমলে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ উদ্যোগ মানবিক দায়িত্ব। নারী ও শিশু উভয়ের কল্যানেই এ ধরনের কর্নার স্থাপন জরুরি। এর জন্য সরকারি আদেশ বা আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়।
মন্ত্রী বলেন, চটকদারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে টিনজাত দুধ খাওয়ানোকে নিরুৎসাহিত করতে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য শুধু আগস্টের প্রথম সপ্তাহ নয়, বছরের প্রতিদিনই মানুষকে বোঝাতে হবে যে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নাই।