মেহেরপুর সবজি উত্পাদনখ্যাত জেলা। এ জেলার মাটির গুণাগুণ হিসাব করে বিভিন্ন বীজ কোম্পানির সহযোগিতায় চাষিরা সবজি বীজ উত্পাদন শুরু করেছেন। সবজি চাষের চেয়ে সবজি বীজ উত্পাদনে তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এ জেলার চাষিদের উত্পাদিত বীজ। সম্প্রতি মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর, রাজাপুর, বন্দর ও উত্তর শালিকাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ উত্পন্ন হচ্ছে। এতে লাভ পেয়ে চাষিরা খুব খুশি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের কৃষক সামছুদ্দিন এ বছর গ্রামের পাশে ঢেলাপীরের মাঠে দেড় বিঘা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছিলেন। ইতোমধ্যে এক বিঘা জমি থেকে লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন। বাকি ১০ কাঠা জমিতে লাউ আছে। তিনি জানান, লাউবীজ উত্পন্ন করতে চাষিকে ৬ মাস সময় ব্যয় করতে হয়। তিনি ভাদ্র মাসে আগাম এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছিলেন। এতে তার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। তিনি ওই জমির উত্পাদিত বীজ বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার টাকায়।
হাইব্রিড লাউ বীজের পাশাপাশি লাউ শাক পেতে এসব মাঠে আরো একপ্রকার লাউ বীজ তৈরি হচ্ছে। হাইব্রিড লাউয়ের বীজ প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি শাক উত্পাদনের জন্য তৈরি লাউবীজ বিক্রি হয় ১২০ টাকা কেজি। যাদবপুর গ্রামের রেজাউল, আবু হানিফ, আনারুল, সাদেকুলসহ অনেকে সবজি লাউয়ের বীজ তৈরির জন্য লাউ চাষ করেছেন। লাউ বীজ তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন বলে একাধিক চাষি জানান।
বিএডিসি, লাল তীর, মেটাল ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন কোম্পানি মেহেরপুরের চাষিদের উত্পাদিত বীজ কিনে থাকে। তাদের উত্পাদিত হাইব্রিড লাউবীজসহ বিভিন্ন বীজ ইংল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে জেনে তারা বেজায় খুশি।