অব্যবহৃত ওষুধের মেডিসিন ব্যাংক, বাঁচায় গরীবদের

আপনার আমার ঘরে প্রতি মাসেই জমে কোনো না কোন ওষুধ। এক পাতায় দুই একটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল কিভাবে যেন থেকেই যায়। এর পর একসময় সেগুলোর গন্তব্য হয় ডাস্টবিন।

এভাবেই প্রচুর ওষুধ প্রতিদিন চলে যাচ্ছে ডাস্টাবিনে বা ময়লার ভাগাড়ে। যেগুলোর সঠিক ব্যবহারে বেঁচে যেতে পারে অনেক গরীব রোগী।

এমনই এক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দিল্লির ওঙ্কারনাথ শহরের অধিবাসীদের থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করছেন অব্যবহৃত নানা ওষুধ। আর তা বিলিয়ে দিচ্ছেন গরীবদের মাঝে।

৭৯ বছরের এই বৃদ্ধ বলেন, “দিল্লির প্রতিটি বাংলো থেকে আমি ওষুধ সংগ্রহ করি। দিল্লিতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের অব্যবহৃত ওষুধ ডাস্টবিনে ফেলে দেন। তাদের কাছে গিয়ে আমি অনুরোধ করি, অব্যবহৃত ওষুধ গুলি যেন ডাস্টবিনে না ফেলে দিয়ে, আমাকে দেন।’

প্রত্যেক মাসে তিনি অন্ততপক্ষে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ সংগ্রহ করেন এবং তা গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। কিন্তু হঠাৎ এই ওষুধ সংগ্রহ মিশন কেন? তার কথায়, “নয়া দিল্লিতে একটি দুর্ঘটনায় কিছু শ্রমিক আহত হন, ওষুধের অভাবে তাদের সঠিক চিকিৎসা হয়নি, সেই থেকেই এই পথ বেছে নিয়েছি”। তাইতো ওঙ্কারনাথের বক্তব্য, তোমরা আমাকে ওষুধ দাও, তা আমি গরীবদের দেব।

নয়া দিল্লির মঙ্গলপুরির একটি বস্তির ছোট্ট ঘরে ওঙ্কারনাথের বাস। তার গায়ে থাকে গেরুয়া রঙের পোশাক। বুকে সাঁটানো থাকে ফোন নম্বর। নিজের পরিচয় দেন, ‘মেডিসিন বাবা’ বলে। এক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। দুই পায়ের হাড়ই সরে যায়। তা সত্বেও ৭ কিমি পথ পায়ে হেঁটেই দরজায় দরজায় কড়া নেড়ে ওষুধ সংগ্রহ করেন তিনি। ওঙ্কারনাথের ঘরে ওষুধের মজুদ ছাড়াও রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার, হুইলচেয়ার। এমনকি হাসপাতালের বেডও।