উৎসবের অর্থনীতি, অর্থনীতিতে উৎসব

অজয় দাশগুপ্ত
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস_ এসব দিবসকে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে তরুণ-তরুণীদের আচরণকে অনেকে আদিখ্যেতা মনে করেন। কেউ কেউ তো মনে করেন, ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই এ ধরনের অনেক দিবস নিয়ে এখন মাতামাতি হয়। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনকেও অনেকে দিবসকেন্দ্রিক বাড়াবাড়ির জন্য দায়ী করেন। করপোরেট বাণিজ্যের কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ দিবস হার মানছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যেমন, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং ১ মে শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস। একবার তো রাজধানী ঢাকা এবং দেশের আরও এলাকা ‘পন্ডস আন্তর্জাতিক নারী দিবস’-এর পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে যেতে দেখেছি। যেন পন্ডস নামের একটি মুখের ক্রিম এ দিবসটি চালু করেছে।
তবে এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, দিবস ও উৎসবের সঙ্গে অর্থনীতির প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। একে চলে অন্যের হাত ধরে। উৎসবের অর্থনীতির আকার নিয়ে অঙ্কের হিসাবও চালু আছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ২০১৫ সালের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক লাখ কোটি টাকার বেশি কেনাকাটা হয়েছে, এমন পরিসংখ্যান দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের নেতারা। আবার কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, এর পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। সংখ্যা যাই হোক_ ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পায়_ এটাই বাস্তব। পোশাকের বাজার এ সময় জমজমাট হয়। ইফতারির আয়োজন হয় শহর ও গ্রামের সর্বত্র। ঢাকার অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের দোকানে ইফতারির জন্য অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। সম্প্রতি সেহরির জন্যও হোটেলে ভিড় জমাচ্ছে অনেক লোক। চকবাজার ইফতারির জন্য কয়েক দশক ধরেই বিখ্যাত। কিন্তু এখন তো রমনা থানার পাশের ফকরুদ্দিন বাবুর্চির ইফতারি পেতেও লম্বা লাইন দিতে হয়। উৎসবের সময় বাস-ট্রেন-লঞ্চ-বিমানে বেশি মানুষ চলাচল করে। সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটনের প্রতিও আকর্ষণ বেড়েছে। কক্সবাজার, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সেন্টমার্টিন_ এসব এলাকায় নানা বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে। কোরবানির ঈদেও অর্থনীতি সচল হয়। ওই সময়ে পশু কেনাবেচা হয় প্রচুর। চামড়ার বাজারেও লেনদেন হয় প্রচুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা কিছুটা কৌতুক করে বলেছেন, পশুর হাটকে কেন্দ্র করে জাল নোট তৈরি করা চক্র তৎপর হয়। এটা তাদের ব্যবসা। আর এই জাল নোট চক্রকে ফাঁদে ফেলার জন্য হাটে হাটে সরবরাহ করা হয় আধুনিক মেশিন। এটাও কিছু লোকের ব্যবসা। ঘাস-বিচালি-কাঁঠাল পাতার মতো এ মেশিনের ব্যবসাও এখন জমজমাট। বাংলাদেশকে বলা হয় বারোমাসে তেরো পার্বণের দেশ। উৎসব যেন লেগেই আছে। পোশাক ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্তরা বলেন, দুই ঈদ এবং শারদীয় দুর্গোৎসব ছাড়াও এখন বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রচুর কেনাকাটা চলে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে পোশাকের বাজারে লাল ও সবুজের সমারোহ দেখা যায়। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে চাহিদা বেশি থাকে সাদা-কালোর। এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবং ফুটবল উপলক্ষেও জার্সি বিক্রির বাজার জমজমাট থাকে। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের জার্সির মতো পোশাক পরে তরুণরা। মেয়েরাও সমানতালে এ আয়োজনে শামিল হয়। স্পোর্টস ইকোনমি বিশ্বে খুব পরিচিত। ইউরোপ-আমেরিকার জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর আয় অঢেল। তারা শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে খেলোয়াড় কেনে। ক্লাবের জার্সি এবং স্যুভেনির থেকেও বিস্তর আয় হয়। কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসতে এখনও ৭ বছর বাকি। কিন্তু স্টেডিয়াম, শপিং মল, হোটেল, সড়কপথ, বিনোদন কেন্দ্রসহ নানা ধরনের নির্মাণ কাজ চলছে রাতদিন। সম্প্রতি দোহায় এক ব্রিটিশ অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ দেশটি নাকি ঘুষ দিয়ে ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোট কিনেছে। উত্তরে তিনি বলেন, এখন কাতারে যে বিপুল উন্নয়ন কাজ চলছে তার বেশিরভাগ ঠিকাদারি পেয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি প্রভৃতি দেশের বড় বড় কোম্পানি। তারা তাদের বিনিয়োগের স্বার্থেই কাতারে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের পথে যে কোনো বাধা দূর করবে। তিনি রসিকতা করে বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে যেন কাতার থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে অন্য কোনো দেশে না নেওয়া হয় সেজন্য তারা কোটি কোটি ডলার ঘুষ দেবে সংশ্লিষ্টদের। প্রকৃতই ব্যবসা আর দুর্নীতি চলে পরস্পরের হাতে হাত ধরে! বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন জনপ্রিয় খেলা। দেশে বিদেশি দল এলে সব বয়সের মানুষ উৎসাহিত হয়। লাল-সবুজের জার্সি বিক্রি হয়। অনেকে টুপিও কেনে। একমাত্র এ খেলাতেই বাংলাদেশের জাতীয় দল নিজেকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে পেরেছে। এর সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন। এখন অনেক দেশের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে কেবল ক্রিকেটের কারণে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে ম্যাচে হারানো নিশ্চয়ই ক্ষণিকের আলোর ঝলক নয়! এ ধরনের সাফল্য যত বেশি আসবে, স্পোর্টস ইকোনমি তত বড় হবে। ফুটবল বিশ্বকাপ আসর যখন বসে তখন বাড়িতে বাড়িতে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে টানানো হয় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা। অন্য দেশের লাখ লাখ পতাকা ওড়ে লাল-সবুজের দেশে। অথচ ক্রিকেটের বিশ্বকাপ চলাকালে এবং আমাদের জাতীয় দল ওই আসরে অংশ নিয়ে চমকপ্রদ সাফল্য দেখালেও কিন্তু বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা টানানো হয়নি। কেন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বাড়ি বাড়ি উড়ল না? তাহলে কি ফুটবলের সঙ্গে নাড়ির যোগাযোগটা একটু বেশিই? আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি, যখন বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল বিশ্বকাপে না হোক অন্তত এশীয় দেশগুলোর প্রতিযোগিতায় নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখবে। ফুটবলে আমরা ভালো খেলতে থাকলে খেলাধুলার অর্থনীতির আরও প্রসার ঘটবে, তাতে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আমাদের পোশাক রফতানিকারকরা খেলায় অংশ নেওয়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের জার্সির প্রচুর অর্ডার পেয়েছেন। অর্থনীতির জন্য এটা সুখবর। আমাদের দেশ যখন এ ধরনের বড় আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তখন ব্যবসায়ীদের মুখে নিশ্চয়ই হাসি ধরবে না। এখন যারা ধনবান, তাদের অনেকে খেলাধুলার জন্য অনুদান দেন। বিশ্বের সর্বত্রই এটা ঘটে থাকে। বড় ক্লাবগুলোর মালিক হওয়ার জন্য ধনীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। তারা এটাও জানেন যে, খেলাধুলায় দেশ উন্নত হলে তার বিনিময় মেলে। অর্থনীতির জন্য তা নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে_ সাঁতার, হাডুডু, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস_ এসব খেলারও পৃষ্ঠপোষকতা করার কাজে এগিয়ে আসুন। সাফল্য কোন খেলায় ধরা দেবে, সেটা আগেভাগে বলা যায় না। প্রতিবেশী ভারতের ব্যাডমিন্টন ও লন টেনিস খেলোয়াড়রা এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সুনাম অর্জন করছে। বাংলাদেশও নিশ্চয়ই পারবে। উৎসব তো আর কেবল ঈদ বা পহেলা বৈশাখ নয়। ব্যবসায়ীদের যে অনেক বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হয়। উন্নত দেশগুলোতে চলচ্চিত্রের উৎসব হয়। গান-নাচ-নাটকের উৎসব হয়। এ উপলক্ষে নানা দেশের শিল্পীরা আসেন। পর্যটকদের ঢল নামে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের ঐশ্বরিয়া বা বিদ্যা বালান কিংবা হলিউডের সেরা নায়িকারা কী ধরনের পোশাক পরেন, তার প্রতি নজর থাকে পোশাকপ্রেমীদের। এভাবে মার্কেট তৈরি হয়। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতাও পণ্যের নতুন বাজার তৈরি করে। নিজেকে সুন্দর করে সাজানো প্রতিটি মানুষেরই সহজাত। উৎসব এ জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। আমাদের দেশে চলচ্চিত্র বা গানের আন্তর্জাতিক উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্নম্ন দেশের পর্যটকরা এখন পর্যন্ত আসছেন না। ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। তারা কুষ্টিয়ার লালন উৎসব কিংবা শিলাইদহের রবীন্দ্রজয়ন্তী ২৫ বৈশাখকে টার্গেট করতে পারেন। সেখানে অনুষ্ঠিত হতে পারে আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান, যা নানা দেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। এ উপলক্ষে বিনিয়োগ বাড়বে, কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা নিজেদের নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ বলছি। মাথাপিছু গড় আয় ১৩১৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতার বিচারে (পিপিপি বা প্যারিটি পারচেজিং পাওয়ার) এর পরিমাণ প্রায় তিনগুণ_ ৩ হাজার ৬০০ ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশে কেউ যত সস্তায় চাল-ডাল-তেল কিনতে পারে, উন্নত অনেক দেশেই তা পারে না। এখানে বাড়িভাড়া এবং শিক্ষা, যাতায়াত ব্যয়ও উন্নত দেশের তুলনায় কম। এ কারণেই ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। যে কোনো দেশের ব্যবসায়ীরাই তাদের নিজেদের স্বার্থে অর্থনীতিতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেন কিংবা সরকারকে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহিত এমনকি প্রভাবিত করেন। ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা এবং এ ধরনের যেসব বড় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী গ্রুপ রয়েছে তারা তাদের প্রকল্প হাউজিং এলাকায় সরকার যেন সড়কপথ তৈরি করে এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করে সেজন্য তৎপর হয় বলে জানা যায়। ভারতের আগ্রার তাজমহল গোটা বিশ্বের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অন্যতম। দিলি্ল থেকে আগ্রায় সড়কপথে যেতে সময় লাগত ৭-৮ ঘণ্টা। এখন সহজ পথ তৈরি করা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করে। এতে মোটরগাড়ির পথের সময় কমেছে আড়াই ঘণ্টা। ঢাকায় যেমন একাধিক ফ্লাইওভার সময় বাঁচাচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্প জীবনযাপন সহজ করে, অর্থনীতির জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। বাংলাদেশের উৎসব মৌসুমে দেশের মধ্যেই পর্যটন বাড়ছে। এ কারণে বিনিয়োগও বাড়ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে চার লেনের সড়কটি চালু হলে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে রেলপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। এ ধরনের একটি প্রকল্প সরকার নিয়েছে। বিমানে যোগাযোগও বাড়ছে। সুন্দরবনেও উৎসবের সময়ে বেশি মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। পদ্মায় সেতুটি চালু হলে প্রাচ্যের ভেনিস হিসেবে পরিচিত বরিশাল এবং পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-খুলনার অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য সহজেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা উৎসাহী হবে। নদীপথ অবশ্যই আকর্ষণীয়; কিন্তু মানুষ তো সময়ও বাঁচাতে চায়। একটি দেশ যখন এগিয়ে যায়, তখন নানা ধরনের লক্ষণ থেকে তা স্পষ্ট হয়। উৎসবের সময়ে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়া তার একটি লক্ষণ। এ সময়ে প্রচুর অর্থ আসে অনেকের হাতে। প্রবাসীরা বেশি টাকা পাঠান পরিবারের সদস্য ও নিকটজনের কাছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বোনাস পায় অনেকে। উৎসবের সময় ব্যয় করার জন্যও অনেকে অর্থ জমা করেন। আমাদের দেশে যে অনলাইন শপিং চালু হয়েছে, সেটাও কিন্তু অগ্রগতির একটি নিদর্শন। ঢাকার বাইরে থেকেও কেনাকাটা করছে ইন্টারনেটে অর্ডার দিয়ে। শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, কয়েকটি জেলা শহরেও এখন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দোকানের পেমেন্ট হচ্ছে। বিকাশ এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল ব্যাংকিং অর্থনীতিতে রীতিমতো বিপ্লব এনেছে। রিকশাচালকও বলছেন_ ভাড়ার টাকা পকেটে নেই তো, কী হয়েছে_ বিক্যাশ করে দেন। অর্থনীতির যত অগ্রগতি হবে, উৎসবে কেনাকাটা তত বাড়বে। আবার দেশের মানুষ যত শান্তি ও স্বস্তিতে থাকবে, রাজনীতির অঙ্গনে যত স্থিতিশীলতা থাকবে পকেটের টাকা খরচ করতে তত উৎসাহ বাড়বে। এমন পরিবেশের সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সবাই সচেষ্ট হবে, এটাই কাম্য। আমাদের উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতি বড় হচ্ছে। এখন চাই অর্থনীতি নিয়ে উৎসব করার পরিবেশ। আসুন, সবাই মিলে এ কাজে মনোযোগী হই।