সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী মির্জাপুরের নারীরা

অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন সমান তালে এগিয়ে চলেছে। আর এর ধারাবাহিকতায়ই মির্জাপুরের অনেক নারী কৃষি কাজ ও সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

মির্জাপুর, দেলদুয়ার, সখীপুর, বাসাইল, নাগরপুর, ভুয়াপুর, ঘাটাইল, গোপালপুর, মধুপুর, কালিহাতী ও ধনবাড়ি উপজেলায় কয়েক হাজার নারী কৃষি ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখে চলেছেন। এ সব নারীরা ধান বোনা ও কাটা থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির ফসল ও সবজির আবাদ করে পুরো সমাজকেই পাল্টে দিয়েছেন। মির্জাপুর উপজেলার বাইমহাটি, গোড়াই, বাঁশতৈল, লতিফপুর, তরফপুর ও আজগানা এলাকায় সরেজমিন ঘুরে কয়েকজন নারী কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা তাদের জীবনচিত্র তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে একজন নারী কৃষক হাফিজা বেগম (৫০) জানান, এক সময় তার স্বামীর সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা এবং দুটি এনজিওর মাঠ কর্মীর পরামর্শে তিনি কৃষি কাজের উপর এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরে তার স্বামীকে অন্যের জমি বর্গা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। স্ত্রীর কথামত তিনি ৭৫ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে এক পাশে ধান চাষ এবং অপর পাশে সবজি আবাদ শুরু করেন। স্বামী-স্ত্রী দিন-রাত ক্ষেতে পরিশ্রম শুরু করেন।

হাফিজা বেগমের সবজির মধ্যে লাউ, চাল কুমড়া, টমেটো, ঝিঙ্গা, শশা, করল্লা, ঢেঁড়স, মুলা, গাজর, কফিসহ নানা প্রজাতির শাক-সবজি রয়েছে। ভোরে বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে ক্ষেতে পাইকাররা এসে নগদ টাকায় সবজি কিনে নিয়ে যায়। হাফিজা বেগম বলেন, সংসারের খরচ মিটিয়ে ছেলে-মেয়েকে কলেজে ও স্কুলে পড়াচ্ছি। সপ্তাহে খরচ বাদে তার ৪/৫ হাজার টাকা তার মুনাফা থাকে।

বেসরকারি সংস্থা উদয় এনজিওর তথ্যমতে, মির্জাপুর উপজেলাসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলার ১০ হাজার নারী কৃষি কাজ ও সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে।