গত ৪ জুন সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর থেকেই দেশের প্রযুক্তি সংগঠন এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল ই-কমার্সের ওপর থেকে আরোপিত ৪% কর প্রত্যাহারের। এ ছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারেরও দাবি ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের। গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া অর্থবিলে এই দুইটি দাবিকেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের সংশোধনীতে ই-কমার্সের ওপর আরোপিত ৪ শতাংশ করের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে পাস হওয়া অর্থবিলে। এর ফলে ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বাজেটে করের আওতামুক্ত থাকবে ই-কমার্স খাত। দেশের বিকাশমান ই-কমার্স খাতকে এগিয়ে নিতে এবং ই-কমার্স খাতে তরুণদের এগিয়ে আসাকে উত্সাহিত করতেই এই সংশোধনী পাস করা হয়েছে। ই-কমার্স ছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সিংহভাগই মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন বিধায় এই সম্পূরক শুল্ক ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিরুত্সাহিত করবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই। এর প্রেক্ষিতেই এই সম্পূরক শুল্কের হ্রাস করা হয়েছে। সংশোধিত বাজেটের এই দুই প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংশ্লিষ্ট সকলেই। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) পক্ষ থেকেও এই দুইটি সংশোধিত প্রস্তাবনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে দেশের ই-কমার্স খাত আরও বেশি প্রসার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। উল্লেখ্য, গত ৪ জুন সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় ই-কমার্স খাতের ওপর প্রথমবারের মতো ৪ শতাংশ কর আরোপ করা হয়। এ ছাড়া মোবাইলের সব ধরনের ব্যবহারের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কও আরোপ করা হয়। বাজেট ঘোষণার পর থেকেই প্রযুক্তি সংগঠনগুলো ছাড়াও প্রযুক্তিপ্রেমীরা এই কর প্রত্যাহারের আবেদ জানিয়ে আসছিলেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেও এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সকল স্তরের এমন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত সংশোধিত বাজেটে প্রত্যাহার করা হয়েছে এই দুইটি কর।