ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষণ প্রক্রিয়া

দেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষণ চালু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ ও একটি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষণ চালুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করাও প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার লক্ষ্যে প্রথম সংশোধনীর ওপর বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক। আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, যা চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। এতে ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষার নবদিগন্তের সূচনা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, মূল প্রকল্পের দলিলে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রভিশন রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণ ভেন্যু ও ল্যাবের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে প্রতি ব্যাচে ৩০-৩৫ জন শিক্ষককে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মোট ২০ হাজার ৫০০ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রভিশন রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণের চাহিদা রয়েছে ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরএডিপিপির প্রতিষ্ঠানপ্রধান ২০ হাজার ৫০০ জন এবং মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংসংশ্লিষ্ট ১ হাজার ৮০০ কর্মকর্তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়াও ডিপিপি প্রাক্কলনের জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ৮৩১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বৈঠকে আরো জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ২০ হাজার ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় আরো ২ হাজার ৮৪১টি প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান যেমন রিটেইল ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে ব্যাংকিং এবং যোগাযোগ খাত সবার সুবিধার জন্য তাদের ডেটাকে অ্যাকশনেবল ইনসাইটসে রূপান্তরিত করতে ইন্টেল করপোরেশন বাজারে এনেছে ওহঃবষষ ঢবড়হষ চৎড়পবংংড়ৎ ঊ৭ া২ ভধসরষু।
অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে আয় ও মুনাফা উভয়ই বৃদ্ধির জন্য সহায়ক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে। ওহঃবষষ ঢবড়হষ চৎড়পবংংড়ৎ ঊ৭ া২ ভধসরষু বিপুল পরিমাণ তথ্য এবং বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সক্ষমতা প্রদান করেছে।
বিগ ডেটা ও ইন্টারনেট অব থিংস (ওড়ঞ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য থেকে তৈরি সেবার দ্বারা মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারণে বিরাট সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে বিগ ডেটা টেকনোলজি ও সার্ভিস মার্কেট প্রতি বছর ২৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ৩২.৪ বিলিয়ন ডলারে পেঁৗছে যাবে। কানেক্টেড ডিভাইসেস থেকে ইন্টারনেট অব থিংসের পূর্ণতার মাধ্যমে আসা বিপুলসংখ্যক ডেটা এ বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ এবং ২০২০ সাল নাগাদ ডিভাইস সংখ্যা ৩০ বিলিয়নে পেঁৗছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতার প্রযুক্তি ও অ্যানালিসিস সলিউশনে বিনিয়োগ ও খরচ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ_ ইন্টেলের আইটি প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশা করছে তারা অ্যানালিটিক্স সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৬ সালের মধ্যে খরচ কমিয়ে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের বট্ম লাইন আয় বাড়াতে সক্ষম হবে।
ওহঃবষষ ঢবড়হষ চৎড়পবংংড়ৎ ঊ৭ া২ ভধসরষু-তে রয়েছে আগের প্রজন্মের প্রসেসর ফ্যামিলির তুলনায় তিন গুণ মেমোরি ক্যাপাসিটি, যার ফলে দ্রুততর ও সম্পূর্ণভাবে ডেটা বিশ্লেষণ সম্ভব হচ্ছে। ইন-মেমোরি অ্যানালিটিক্স একটি সম্পূর্ণ ডেটাসেট যেমন একটি প্রতিষ্ঠানের পুরো গ্রাহক ডেটাবেজকে ডিস্ক ড্রাইভের পরিবর্তে সিস্টেম মেমোরিতে নিয়ে বিশ্লেষণ করে। জটিল অ্যানালিটিক্সের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।