দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নে সহজ শর্তে ২০ কোটি ইউএস ডলার ঋণ দিচ্ছে বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২১ জেলায় অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়বর্ধন কর্মসূচিতে এ তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। ক্ষুদ্রঋণের আওতার বাইরে থাকা লোকজন এ সহায়তা পাবেন। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টিন কাইমস।
কাজী শফিকুল আজম বলেন, বিশ্বব্যাংকের এ ঋণে বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের অতিদরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়ন (নতুন জীবন) সর্বশেষ প্রণীত দারিদ্র্য মানচিত্র অনুযায়ী দারিদ্র্যহার বেশি রয়েছে এমন এলাকাগুলো প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমে গতি আসবে। দারিদ্র্য নিরসনে বর্তমানের সাফল্য ধরে রাখতে নতুন জীবন প্রকল্প কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দারিদ্র্যহার কমে আসার সাম্প্রতিক প্রবণতার প্রশংসা করেন ক্রিস্টিন কাইমস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এর পরেও দেশটির অনেক মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। এসব দরিদ্র মানুষের অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন জীবন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের নমনীয় শর্তে ঋণ দানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে সহজ শর্তে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ঋণ পরিশোধে ৩৮ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ছয় বছর। রেয়াতকাল পরবর্তী সময়ে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দশকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার বাইরে এসেছে। এর পরেও গ্রামীণ অঞ্চলের চার কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখনো দরিদ্র।