শীতের শুরুতে যখন বর্ষার জল নেমে যায় তখন বড়ালের বুক জুড়ে চাষাবাদ শুরু হয়। একসময় বেশিরভাগ অংশেই ধান চাষ হতো। তবে এখন অনেক জমিতেই চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ঘাস।
এগুলোর মধ্য রয়েছে অষ্ট্রেলিয়ান সুইট জাম্বো, নিউজিল্যান্ডের জাম্বো, ইন্ডিয়ান গ্যামা ও নেপিয়ার জাতের ঘাস। ঘাস যখন বড় হয় তখন চোখে পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ঘাস কেটে ভ্যানে বোঝাই করে ঘাস নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য।
২০০৫ সাল থেকে এ এলাকায় প্রথম অষ্ট্রেলিয়ান ঘাস চাষ শুরু হয়। শুরুর দিকে ঘাস চাষের পরিমাণ কম থাকলেও ক্রমেই এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পরিশ্রম, স্বল্প খরচ ও চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে বেড়ায় বেড়েছে ঘাস চাষের পরিমাণ। শুধু বড়ালের বুক জুড়েই নয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমিতে ঘাসের আবাদ করা হচ্ছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অক্টোবরে জমিতে ঘাস বোনা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ঘাস চাষে খরচ হয় ২৫শ থেকে ২৬শ টাকা। ৪/৫ বার ঘাস কাটিং করে ঘাস সংগ্রহ করা হয়। জুন/ জুলাই পর্যন্ত ঘাস সংগ্রহ করা হয়। ঘাস চাষের সুবিধা হলো ক্রেতার কাছে বিক্রি করা পর্যন্তই বিক্রেতার দায়িত্ব। ক্রেতা নিজ খরচে ঘাস কেটে যথাস্থানে নিয়ে যায়। এতে বিক্রেতার কোন খরচ হয় না। প্রতি বিঘা ঘাস ৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ঘাস খাওয়ালে গরুর দুধের পরিমাণ বেড়ে যায়।
বেড়া কৃষি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ফিরোজ জানান, কৃষকরা ইচ্ছে করলে বিশেষ পদ্ধতিতে ঘাস ৪/৫ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারে। এজন্য ঘাস ছোট ছোট করে কেটে নালী দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে এয়ার টাইট করে কোন পাত্রে বা গর্তে সংরক্ষণ করা যায়। এতে অসময়ে কৃষকরা গো খাদ্যের সংকট থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।