বরিশাল ও ঝালকাঠির মাঝামাঝি স্থানে সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা ডিভিশন করা হবে। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে পটুয়াখালী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। ভিডিও কনফারেন্সে পটুয়াখালী জেলা ছাড়াও নেত্রকোনা জেলা এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নেন। পটুয়াখালী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স ছাড়াও সমাপনী বক্তব্যে দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা ডিভিশন করার কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর জন্য আরও একটি ডিভিশন করতে চাই। বরিশাল ও ঝালকাঠির মাঝামাঝি এই ডিভিশন হবে। এ সময় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। নেত্রকোনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সঙ্গে কনফারেন্সের সময় প্রধানমন্ত্রী সেখানে মৎস্য অভয়ারণ্য করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে, উন্নতি হবে। সমাপনী বক্তব্যে কোন মানুষ যেন গৃহহারা না থাকে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাস জমিগুলো ব্যবহার করতে হবে। এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট নাশকতার কারণে প্রায় তিন মাস দুঃসময় গেল বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই দুঃসময় মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটতে পারে সে জন্য আপনাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞার সঞ্চালনায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস, শরিয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, ঝালকাঠি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এতে বরিশাল, নেত্রকোনা এবং পটুয়াখালীর স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও কয়েক জন জনপ্রতিনিধিও বক্তব্য দেন।