পদ্মার এই অংশে কূল আছে, নেই আগের সেই কুলকুল ধারা। চৈত্রের তপ্ত দুপুরে স্থির পদ্মায় মাঝে মাঝে ঢেউ দেখা দেয় নৌযানের ধাক্কায়। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় এখন আর ঘাট নেই। সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দেড় কিলোমিটার দূরে শিমুলিয়ায়। কারণ এখানে চলছে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো- পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্মযজ্ঞ।
মাওয়া চৌরাস্তার সোজাসুজি নদীর ওপর পদ্মা সেতুর পাইলিং চলছে। সেই দৃশ্য দেখে শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝির ঘাটে যেতে লঞ্চ চলল দেড় ঘণ্টা। ছোট-বড় চরের মধ্য দিয়ে গেছে নদীপথ। মাঝির ঘাটে পৌঁছার আগেই দূর থেকে চোখ কাড়ল সাদারঙা উঁচু সব স্থাপনা। এগুলোই জাজিরায় পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড। পুরো এলাকাই মরুভূমির মতো। খাঁ খাঁ রোদে ধূলিবাতাসের মধ্যে কাজ করছে হাজারো শ্রমিক। নদীর তীর বেঁঁধে দেওয়া হয়েছে আগেই। চলছে স্থানে স্থানে খননকাজ। সার্ভিস এলাকায় আকার পাচ্ছে একে একে ৪২টি ভবন। জাজিরায় মাঝিরঘাট, নাওডোবাসহ গোটা প্রকল্প এলাকায় দেখা গেল এই দৃশ্য।
বালুচরে দেড় ঘণ্টা হেঁটে নাওডোবায় গিয়ে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চোখে পড়ল। একের পর এক ড্রাম ট্রাক মাটি কিংবা পাথর বহন করে চলাচল করছিল ধুলো উড়িয়ে। এই দৃশ্য দেখতে দেখতে পশ্চিম নাওডোবার সেলিম বেপারী বললেন, ‘দিনে রাইতে কাজ চলতাছে। প্রধানমন্ত্রীও একবার আসছিলেন।’ ধুলোমাখা চোখেমুখে তাঁর উচ্ছ্বলতা।
শুধু জাজিরা নয়, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, মাদারীপুরের শিবচরেও চলছে পদ্মা সেতুর ছোট-বড় সব কাজ। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হবে এই পদ্মা সেতু। এটি নির্মাণ হলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৯ জেলার সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। মাওয়া থেকে জাজিরার মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে সেতুটি। সেতুর প্রস্থ হবে ২১ দশমিক ১ মিটার। তাতে স্প্যান থাকবে ১৫০টি। ভায়াডাক্টসহ মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৯ দশমিক ২৯৮ কিলোমিটার। মাওয়া প্রান্তে পদ্মার ওপর মূল সেতুর পাইলিং চলছে। মাওয়ায় দুই কিলোমিটার ও জাজিরায় ১২ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও চলছে। উভয় প্রান্তে ১৩ কিলোমিটার নদীশাসনের জন্য প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দুই প্রান্তেই চলছে সার্ভিস এলাকা নির্মাণের কাজ। গোটা প্রকল্পে কাজ করছেন সাত হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে চীনা শ্রমিক ৬০০ জন।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা নদীর ওপর মূল সেতুর পিলার বসবে ৪২টি। একেকটি পিলার ভার সইতে পারবে চার হাজার টন ওজন। প্রতিটি পিলার ৩৯৩ ফুট গভীরে যাবে। মূল সেতুর কাজ শুরু করেছে চীনের মেজর ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কম্পানি লিমিটেড। নদীশাসনের কাজ করছে সে দেশের সিনোহাইড্রো করপোরেশন। মূল সেতু ও নদীশাসন ছাড়া অন্যান্য কাজ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান এইচসিএম কনস্ট্রাকশনস।
প্রতিদিন কী কী কাজ করতে হবে তার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করা হচ্ছে। নদীশাসনের জন্য বালু উঠাতে হবে পাঁচ কোটি কিউবিক মিটার। নদীশাসনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে গত জানুয়ারি থেকে। সেখানে তৈরি করা হবে গাইড বাঁধ।
অক্টোবরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী : আগামী অক্টোবরে পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং এবং নদীশাসনের কাজ শুরু করা হবে। মাওয়া প্রান্তে এ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন জাজিরা প্রান্তেও নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২৫ মার্চ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তা ও পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শনকালে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।
মাওয়ায় মহাযজ্ঞ : গত ১ মার্চ মূল সেতুর মাওয়া প্রান্তে অ্যাংকর পাইলিং শুরু হয়ে শেষ হয়েছে নির্ধারিত দিন ১৪ মার্চ। ২০ মার্চ মাওয়া প্রান্তে শুরু হয়েছে ট্রায়াল পাইলিং বা টেস্ট পাইলিং। চূড়ান্ত পিলার তৈরি হবে মাওয়ায় নিজস্ব ওয়ার্কশপে। মাওয়ায় নদীতীরে গড়ে তোলা হয়েছে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড। এক কিলোমিটার লম্বা ওয়ার্কশপ তৈরি করা হবে এই ইয়ার্ডে। সেখানে তৈরি হবে সেতুর পাইল।
মাওয়ায় মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৫ শতাংশ। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পারে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ছয়টি ভাসমান ক্রেন, ছয়টি ড্রেজিং মেশিন ও পাঁচটি সাধারণ ক্রেন। অ্যাংকর তিনটি, ট্রাক তিনটি। ভায়াডাক্ট নির্মাণের মালামালও রাখা হচ্ছে মাওয়ায়। গত ১৫ থেকে ১৮ মার্চ সেখানে এসেছে ২০০০ টন রড। মাওয়ায় মূল সেতুতে ৩৫০ জন বিদেশি শ্রমিক ও ৫০০ জন দেশীয় শ্রমিক কাজ করছেন। অন্যদিকে নদীশাসনে চীনা শ্রমিক ১০০ ও বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন ১৫০০ জন।
দোগাছী বাজারের উল্টোদিকে মাওয়ায় সার্ভিস এলাকা-১। এটি গড়ে উঠেছে ২৭ হেক্টর জমিতে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, সিএসসি প্রকৌশলীদের অফিস ও বাসস্থানের জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বানানো হয়েছে ২০টি কটেজ। আছে ডরমেটরি ও প্রকৌশলীদের মেস। অফিস ছাড়াও আছে নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষার ল্যাবরেটরি। আছে সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন ও টেনিস কোর্ট, তিন কিলোমিটার জগিং ট্র্যাক। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া সার্ভিস এলাকার কাজ শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশ।
পুরো কাজ তদারকির জন্য গত নভেম্বরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৩৫ জন সিএসসি। বাংলাদেশ ছাড়াও তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোরিয়া, চীন, নেপাল, নিউজিল্যান্ড থেকে। তাঁরা মাওয়ায় সার্ভিস এলাকায় অবস্থান করছেন। মাওয়া সংযোগ সড়ক হবে দেড় কিলোমিটার লম্বা। সেখানে থাকবে টোল প্লাজা, পুলিশ স্টেশন, গ্যাস স্টেশন। এখন সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দিনে ও রাতে ট্রাকে মাটি ভরাট ও সমান করা হচ্ছে। এ কাজের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। মাওয়ায় নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৩ শতাংশ।
জাজিরা ও শিবচরেও কর্মযজ্ঞ : শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর অংশে ১১ কিলোমিটারজুড়ে চলছে কর্মযজ্ঞ। সেখানে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ যৌথভাবে করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়ান প্রতিঠান এইচসিএম।
কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে দিয়ারা নাওডোবায়। সেটি মাঝিরঘাটের পাশেই। ইয়ার্ডের দুই কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করছে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। তার পশ্চিম অংশে ছবদের ফকিরকান্দি গ্রামে সিনো হাইড্রো তাদের কর্মকর্তাদের বাসস্থান ও অফিস ভবন নির্মাণ করছে। নদীশাসনের জন্য ছবদের ফকিরকান্দিতে ড্রেজার বসিয়ে নদী খননের কাজ করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। পথ বলতে কিছু নেই প্রকল্প এলাকায়। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পশ্চিমে নাওডোবায় সংযোগ সড়ক ও আরো দূরে মালঙ্গী গ্রামে সার্ভিস এলাকার কাজ চলছে। বালুচরে বালু মাড়িয়ে যেতে যেতে চোখে পড়ল বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড। মালঙ্গীকান্দিতে গিয়ে দেখা গেল, চারদিক থেকে মাটির বাঁধ দিয়ে বড় বড় পুকুরের মতো তৈরি করা হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য খননযন্ত্র দিয়ে বালু ভরাট করা হচ্ছে। কাজের তদারকি করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
জাজিরায় সংযোগ সড়ক হবে সাড়ে ১০ কিলোমিটার। সরেজমিনে দেখা গেল, সংযোগ সড়কের জন্য নাওডোবা ও কেশবপুরে পাঁচটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর সাব-স্ট্রাকচার তৈরি করা হয়েছে। শেষ হয়েছে পাইলিং। ২০টি কালভার্ট নির্মাণ কাজের সম্পন্ন হয়েছে ৬০ শতাংশ। আটটি আন্ডারপাসও নির্মাণাধীন। জাজিরায় মূল নদীতে ড্রেজিং চলছে। নাওডোবায় নদী খনন করা হচ্ছে স্থানে স্থানে। এই ধারাবাহিক কাজ চলবে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মালঙ্গীকান্দিতে বালুচর ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখা মিলল সার্ভিস এলাকা-২-এর। ৮৭ হেক্টর জমিতে এই অংশে চলছে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। জানা গেল, সেখানে ৪২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এ যাবৎ পুরোপুরি শেষ হয়েছে ১২টি। ৪২টির মধ্যে ডুপ্লেক্স হবে ৩০টি। থাকবে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ছয়টি একতলা ভবন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ অংশে কাজ শুরু হয়েছিল। সেখানে কাজের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশ। ভেতরে পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম মজুদ রাখা হয়েছে। জাজিরায় সংযোগ সড়কে শ্রমিক কাজ করছে দেড় হাজার। আর সার্ভিস এরিয়ায় কাজ করছে ৪০০ জন শ্রমিক।
নাওডোবা ইউনিয়নের ছবদের ফকিরকান্দি গ্রামের ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘আমার বসতবাড়ির জায়গাটি প্রকল্পের জন্য ছেড়ে দিতে হয়েছে। ধুলাবালির মধ্যেই চলাচল করতে হচ্ছে। তার পরও সেতু হলে খুশি হবো।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (কনস্ট্রাকশন) এম ফজলে মোনায়েম কালের কণ্ঠকে বলেন, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ দ্রুতগতিতে করা হচ্ছে। রাতেও কাজ করতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তদারকি থাকায় এই কাজে আরো গতি বেড়েছে।
নাওডোবা থেকে মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর, কাঁঠালবাড়ী, কাওড়াকান্দি ও দেওড়ায় গিয়ে দেখা গেল, চারটি স্টক ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। মালামাল ও সরঞ্জাম এনে সেগুলোয় রাখা হচ্ছে। মাটির পরীক্ষা ও গুণমান ঠিক করতে জার্মানি থেকে আনা হয়েছে সেন্ট পাইলিং রিগ নামের অত্যাধুনিক যন্ত্র।
পুনর্বাসনকেন্দ্র ছয়টি : ১৬৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি পুনর্বাসনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার ৬৩৪টি পরিবারকে এগুলোয় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই খাতে আরো ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। পরিবেশ খাতে তিন কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। মাঝিরঘাট ও নাওডোবায় বালুচরে দেখা গেল দুটি পুনর্বাসনকেন্দ্র। মাওয়ায় কুমারভোগের পুনর্বাসনকেন্দ্রেও ক্ষতিগ্রস্তদের বসবাস শুরু হয়েছে।
তদারকিতে সেনাবাহিনী : পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হচ্ছে মাওয়া-জাজিরা সেনানিবাস। জাজিরায় আছেন সেনাবাহিনীর ৮০০ ও মাওয়ায় ৩০০ কর্মকর্তা ও সদস্য। দুটি সংযোগ সড়কের তদারকি করছে সেনাবাহিনী।
পাথর-সিমেন্ট আসছে : জানা গেছে, প্রকল্পে আপাতত সিমেন্ট লাগবে কমপক্ষে ৯০ হাজার টন। এ যাবৎ ব্যবহার হয়েছে ৩০ হাজার টন। প্রতিদিন আসছে ১০০ টন। মাওয়া সংযোগ সড়কে লাগবে পাঁচ হাজার টন সিমেন্ট। এক মাস ধরে ভারতের পাকুর, বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর-নগরবাড়ী সড়কপথে ও পরে সেখান থেকে বার্জযোগে মাওয়ায় আনা হচ্ছে পাথর। সিলেটের ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকেও পাথর আসছে। দেড় মাস ধরে সেখান থেকে বালুও আসছে। জাজিরা সংযোগ সড়কের পাঁচটি সেতুতেই ৮০ লাখ ঘনফুটের বেশি পাথর লাগবে। মধ্যপাড়া থেকে কঠিন শিলা আনা শুরু হবে চলতি মাসে। জাজিরায় পাঁচটি সেতুতে প্রতিরক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা হবে এসব শিলা। আপাতত এসব শিলা লাগবে ৭০ হাজার টন। রড এসেছে ১০ হাজার টন। জাজিরায় সংযোগ সড়ক, পাঁচটি সেতু, আন্ডারপাস ও কালভার্টের কাজে লেগেছে এসব রড।
– See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2015/04/03/206051#sthash.I8EoktSB.dpuf