সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। চলতি (২০১৪-১৫) অর্থবছরের জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকার (বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের অর্থ ব্যতীত) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (আরএডিপি) খসড়া অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। মূল এডিপির তুলনায় বরাদ্দ হ্রাসের পরিমাণ ১০ শতাংশের কিছু বেশি। প্রস্তাবিত আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে এনইসি সভায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। পরিকল্পগুনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৮ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিলো ৩৮ শতাংশ।
সংশোধিত এডিপিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো শুরুতে ৮২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে সরকারি বরাদ্দ থেকে চাহিদা ছিল ৫৭ হাজার ৭৮৩ কোটি। বৈদেশিক সহায়তা চাহিদা ছিল ২৪ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। পরিবর্তীতে বিভিন্ন কারণে চাহিদাও কমে যায়। চাহিদা ও এডিপি বাস্তবায়ন হার এবং অর্থের যোগান বিবেচনা করে সরকার ৭২ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ বেঁধে দেয়। তবে স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় আরো ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে। প্রস্তাবিত আরএডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প রয়েছে ১২শ’ ৪টি। এসব প্রকল্পের জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মোট বরাদ্দের ৪৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা যোগান দেয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে। বৈদেশিক সহায়তা থেকে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে বরাদ্দবিহীনভাবে সবুজ পাতায় ৬০৫টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দ ব্যতিরেকে ৩৬০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। মূল এডিপিতে সরকার বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) ৪০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
চলতি অর্থবছরের এডিপির থেকে আরএডিপিতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা (১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা (১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ) এবং বৈদেশিক সহায়তার অংশ ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (১০ দশমিক ১০ শতাংশ)। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ছিল ৮০ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ ছিল ৫২ হাজার ৬১৪ কোটি আর বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নসহ সর্বমোট ৮৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিলো।