ঢেলে সাজানো হচ্ছে গ্রাম পুলিশ

বেতন ও কাজের পরিধি বাড়ছে

শরীফুল ইসলাম

ঢেলে সাজানো হচ্ছে গ্রাম পুলিশ। তাদের বেতন দ্বিগুণ করা হচ্ছে। আনা হচ্ছে পোশাক সরবরাহে ব্যাপক পরিবর্তন। বাড়ছে সদস্যের সংখ্যাও। কাজের পরিধিও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের বেতন ও অন্যান্য বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সূত্র জানায়, গ্রাম পুলিশের দফাদারের
৪ হাজার টাকা এবং মহল্লাদারের ৩ হাজার ৫০০ টাকা বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বর্তমানে একজন দফাদার ২১শ’ টাকা ও মহল্লাদার ১৯শ’ টাকা বেতন পান। কয়েক বছর ধরে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বেতন বাড়ানোর দাবি করে আসছেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগ বেতন বাড়ানোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে গ্রাম পুলিশের বেতন বাড়ানোর কথা বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে
বলেন, গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথমত গ্রাম পুলিশকে শক্তিশালী করতে হবে। গ্রাম পুলিশ শক্তিশালী হলে গ্রামে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে। এ বিবেচনা থেকেই সরকার গ্রাম পুলিশকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রাম পুলিশের পোশাক ও সরঞ্জামাদি সরবরাহে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তারা বছরে তিনবার তাদের নির্ধারিত পোশাক পাবেন। পাশাপাশি সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে।
সারাদেশে ৪৫ হাজার ৫শ’ গ্রাম পুলিশ সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন দফাদার ও ৯ জন মহল্লাদার আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কর্মসূচিতে তারা ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি চোর-ডাকাত, সন্ত্রাসীদের ধরতে তারা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। প্রতি ইউনিয়নে মহল্লাদার তিনজন বাড়ানো হবে। তাদের কাজের পরিধিও বাড়বে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করবেন। এ ব্যাপারে একাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্য সমকালকে বলেন, বেতন বাড়ানো তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। তবে এবার নামমাত্র বেতন বাড়ালে চলবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন না দিলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।