-
৩ মার্চ ২০১৫
বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে শুরু হবে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি শ্রমিক নেবে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দেশটি এখন ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আর সেজন্যই দেশটির প্রয়োজন হবে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, যার সুবিধা নিতে চাইছে বাংলাদেশ।
কিন্তু দেশটিতে প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশটির সরকারকে।
চলছে নির্মাণ কাজ।
গত দুই বছরে বিশ্বকাপের জন্য নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ৯৬৪ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ প্রেক্ষাপটে কাতারে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিক সাইফুর রহমান এক সাক্ষাতকারে বিবিসিকে জানান বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রচুর অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টেডিয়াম, বিশ্বকাপ ভিলেজ বা হোটেল।
তিনি জানান ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ব্যাপক নির্মাণ কাজ চলবে সেখানে আর আগামী বছর থেকেই কাজের তোড়জোড় দেখা যাবে।
বাংলাদেশী শ্রমিকের চাহিদার কারণ হলো অল্প পারিশ্রমিকে বেশি কাজ করার সুনাম রয়েছে বাংলাদেশীদের।
অন্য দেশের শ্রমিকের কাছ থেকে যেটা পাওয়া যায়না। সেজন্য চাহিদাও রয়েছে।
একটি দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামের ডিজাইন।
তিনি বলেন বাংলাদেশী শ্রমিক না নিয়ে বিকল্প নেই। বাংলাদেশী শ্রমিক ছয়শ থেকে আটশ দিরহাম পায় যদিও পাশাপাশি অনেকে থাকা খাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ভারতীয় ও পাকিস্তানী শ্রমিকদের জন্য আরও বেশি পারিশ্রমিক দিতে হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবার খুব কম খরচে কাতার পাঠানোর কথা বলা হয়েছে যেটি শ্রমিকদের কাতারে যেতে আরও সুবিধা করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মি. রহমান বলেন নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত বিষয়ের দিকে এবার কাতার মনোযোগ দেবে কারণ বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি থাকবে দেশটির উপর।
ইতোমধ্যেই তারা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কাতার।
শ্রমিকদের কিভাবে নেয়া হচ্ছে, লেবার ক্যাম্প মনিটর সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত কাতার সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মস্থলে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিয়ে সমস্যার অভিযোগ প্রায়শই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে।