কৃষি রক্ষায় প্রশাসনের উদ্যোগ

কৃষকদের কাছে সার ও ডিজেল পৌঁছে দিতে ডিসি ও এসপিদের প্রতি নির্দেশনা

হরতাল-অবরোধের মুখে দেশের কৃষি উৎপাদনে বিঘ্নতা দূর করতে স্থানীয় প্রশাসনকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সার-ডিজেল সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং রেল বিভাগকে রেলের ওয়াগন বাড়াতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় দেশের সর্বত্র জ্বালানি তেল ও সার পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসিদের দিকনির্দেশনা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং এসপিদের নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সার-ডিজেল নিয়ে কৃষকের উদ্বেগ কাটাতে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি সারা দেশের ডিসি-এসপিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে চলমান অবরোধ ও হরতালে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সার ও ডিজেল সংকট দেখা দিয়েছে। খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কমে গেছে। শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে অবস্থিত বিপিসির পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলাসহ টাঙ্গাইল-জামালপুর জেলায় সব ধরনের জ্বালানি তেল পরিবহনে বিঘ্ন ঘটছে। পিকেটারের হামলা আর পেট্রলবোমার ভয়ে ট্যাংক-লরি মালিক ও শ্রমিকরা জ্বালানি তেল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সার পরিবহনেও। সূত্র জানায়, এ অবস্থায় সার ও ডিজেল কৃষকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রেল মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, যেসব জেলায় রেলযোগে সার ও ডিজেল পরিবহন করা হয় সেসব জেলায় যেন রেলের ওয়াগন বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী সিলেট ও পার্বতীপুর লাইনে ওয়াগন বাড়ানোর কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।