দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং এ খাতের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আরও ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক নতুন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করবে সরকার। এজন্য ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল)।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলি সাজ্জাতুর রহমান জানান, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ মেয়াদে এ প্লান্ট স্থাপন করা হবে। নতুন এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার ৪৬৬ কোটি ৯৫ লাখ, সংস্থার নিজস্ব ৬৮ কোটি ৪০ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় এপিএসসিএলের পুরাতন এবং কম দক্ষতাসম্পন্ন ইউনিট পরিবর্তন করে নতুন ইউনিট স্থাপন করা হবে। এছাড়া উচ্চ জ্বালানি দক্ষতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট প্রতিস্থাপন করা হবে। আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাজধানী ঢাকা শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি পাঁচটি তাপবিদ্যুৎ ইউনিট, একটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট এবং একটি গ্যাস ইঞ্জিন প্লান্টের সমন্বয়ে গঠিত। এটি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা হবে প্রায় ৩৪ হাজার মেগাওয়াট। সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নূরুল আলম বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। সে লক্ষ্য পূরণের জন্য ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি হাতে নিতে যাচ্ছি। সরকার যদি এটি আমাদের অনুমোদন দেয় তবে তা দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।