জুয়েল দাশ, মহালছড়িঃ-খাগড়াছড়ি’র মহালছড়ি উপজেলায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের মনাটেক যাদুগানালা একটি ছোট্টগ্রাম। এ গ্রামে উঠতি বয়সি কিছু সংখ্যক যুবক মিলে ২০০১ সালে গড়ে তুলেছেন মনাটেক যাদুগানালা মৎষ্য চাষ সমবায় সমিতি। সমিতির সকল সদস্য মিলে দৈনন্দিন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে ও নিজস্ব কর্মসংস্থান তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার বিভোর স্বপ্ন নিয়ে প্রায় ৪০০ শত একর জলাভুমিতে বাঁধ নির্মাণ করে মৎষ্যচাষ শুরু করেন।
এ সমিতির প্রত্যেক সদস্য দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত কায়িক ও মানসিক ভাবে শ্রম দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ সালে অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় পুরস্কার। মৎষ্য চাষে পেয়েছেন সাফল্য। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মনাটেক যাদুগানালা বহুমূখী মৎষ্য চাষ সমবায় সমিতি শুধু মহালছড়ি উপজেলায় নয় পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় সাফল্যের এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মৎষ্য চাষ শুরুর ৩ বছর পর থেকেই মাছ বিক্রি শুরু করেন।
উৎপাদন হচ্ছে, রুই, কাতলা, চিতল, তেলাপিয়া, বোয়াল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, কই, কার্পো ছাড়াও ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রতি বছর কমপক্ষে ২০-২৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করে বিশেষ স্বীকৃতি হিসেবে গত ২০১১ সালে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হয় ।
বর্তমানে এ সমিতির উৎপাদিত মাছ স্থানীয়দের চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এ বছরের শুরুতেই প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ শশী চাকমা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আরো কমপক্ষে ৫-১০ লক্ষ টাকার মাছ বেশী বিক্রি করার সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
মনাটেক যাদুগানালা বহুমূখী মৎষ্য চাষ সমবায় সমিতির সভাপতি বিপলো চাকমা জানান, এ সমিতির সকল সদস্যের পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পর এ সমিতির মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সরকারের পাশাপাশি এ সমিতি গ্রামের সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।