২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাস সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ নামের এ রিপোর্টে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরুর আগেই রিপোর্ট তৈরি করায় এতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এতে বাংলাদেসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ছিল ৬ এবং ২০১৪ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৬ দশমিক ১ শতাংশে।

এদিকে চলতি অর্থবছরে সরকার দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বিশ্বব্যাকের পূর্বাভাস ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৩-১৪ সালে সরকারের ৭ দশমিক ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

এবারের রিপোর্টে ২০১৪ সালকে বিশ্ব অর্থনীতির আরেকটি ‘হতাশাজনক বছর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ২০১৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা ৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বচানের আগে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ছিল তা নির্বাচনের পরে না থাকায় এবং সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

এই স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। এতে বলা হয়, যদি রাজনিত পরিস্থিতি শান্ত থাকে তাহলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে এবং বেসরকারি ভোগ চাহিদা বাড়বে। ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত ও নেপালের প্রবৃদ্ধি বাড়বে উল্লেখ করা হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি কমবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।