অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত এক দশকে ১৭.৪ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে।
তিনি আজ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য এম এ হান্নানের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো খানা আয়-ব্যয়ের জরিপ-২০০০ অনুযায়ী বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮.৯ শতাংশ। ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ শতাংশ। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যমেয়াদি বান্তবায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৪ সালে দারিদ্র্যের হার ২৪.৫ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং অন্তর্বর্তীমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতসহ অবকাঠামো ঘাটতি হ্রাসের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক ক্ষমতায়নে সরকারের আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধিসহ রেমিটেন্স প্রবাহের অব্যাহত ধারা বজায় থাকায় দারিদ্র্যের হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, শূন্যের কোটায় কখনো দারিদ্র্যের হার পৌঁছাবে না। কোনো দেশেই তা কখনো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১০ থেকে ১৫ শতাংশে দারিদ্র্যের হার পৌঁছলেই মনে করা হয় দারিদ্র্য আর নেই।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামীতে দেশে দারিদ্র্যের হার ১০ থেকে ১৪ শতাংশে হ্রাসের লক্ষ্যে শিল্প কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।