জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ‘ভিশনারি’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপোর (জিএসএসডি এক্সপো) সমাপনী উৎসবে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, সজীব ওয়াজেদ জয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান এবং বক্তব্য দেন। পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত গণমাধ্যমকে বলেন, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা প্রশাসনের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এই অ্যাওয়ার্ড তারই স্বীকৃতি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সাউথ সাউথ কো-অপারেশনবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রেসিডেন্ট ড. এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো ২০১৪-এ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি এবং সুধীসমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানায়, ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং শিক্ষার প্রসারে বৈপ্লবিক ধ্যান-ধারণার সমন্বয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এবার মানবতার কল্যাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আরো ছয় ব্যক্তি ও রাষ্ট্রকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাতার, অরগানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওআইএস), গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ এডেক ইনোভেশন, ল্যাটিন আমেরিকান সাউথ সাউথ কান্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অন্যতম।
উল্লেখ্য, মেধা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে শতাধিক দেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক, নীতিনির্ধারক, শীর্ষস্থানীয় এনজিও ব্যক্তিত্ব, সমাজ সংগঠক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, জাতিসংঘের সব সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধির অংশগ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৭ নভেম্বর সোমবার ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো’ শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর শেষ হয়েছে।
জাতিসংঘের ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের সময় বাংলাদেশে তৃণমূলে তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন, সর্বসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সমাজে অবহেলিত মানুষের জীবনধারার মানোন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রগতি এবং সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপনের জন্য এই ‘ভিশনারি অ্যাওয়ার্র্ড’ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন শেখ হাসিনা।