সারা দেশেই ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ করা হবে

সারা দেশেই ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। তিনি বলেন, ‘এখন সারা দেশে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় পর্যায়ক্রমে ভূমি ডিজিটাইজের প্রক্রিয়া চলছে। তবে আমি সারা দেশে এই ব্যবস্থা চালু করতে চাই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, সাবেক সব রেকর্ড ও কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করা যাবে না। প্রকৃত ভূমি মালিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এখন খুশি। অল্প সময়ের মধ্যে তারা এখন ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় জমির কাগজপত্র (পর্চা) পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান।
মন্ত্রণালয়গুলোর বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ওই সময় প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সচিব সাইফুল ইসলাম ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের একটি বিল এখন ভারতের লোকসভায় রয়েছে। আমি আশা করি ভারত স্থলসীমান্ত বিষয়ক দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে চুক্তিটি অনুমোদন করবে।’ তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্তের মধ্যকার সীমানা রেখা টানা ও মানচিত্র তৈরির কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এ সমস্যা চিরতরে বিদায়ে ভারতের লোকসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান বিষয় হচ্ছে ভূমি এবং একখণ্ড ভূমির মালিক হওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু ভূমিহীন দরিদ্র লোকদের খাস জমি দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের কোনো নাগরিক গৃহহীন থাকবে না এবং কেউ ফুটপাতে বা সড়কের পাশে বসবাস করবে না। তিনি জেলা প্রশাসকদের নিজ নিজ এলাকার খাস জমি উদ্ধার করে দরিদ্র ভূমিহীন লোকদের বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন পূরণে বিপুল পরিমাণ ভূমির প্রয়োজন। তবে ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। পাশাপাশি নদী ভাঙন এবং অন্যান্য কারণে প্রতিবছর দেশে বিপুল পরিমাণ জমি কমে যাচ্ছে। এ কারণে এখন আমাদের ভূমির যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’ সূত্র : বাসস।