ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নেতৃত্ব দেবে বুয়েট

সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-শিার্থীদের সহযোগিতায় আগামীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবে বুয়েট- এমনই আশাবাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খালেদা একরামের। গতকাল উপাচার্য অফিসে আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত সাাৎকারে দেশের প্রকৌশল শিার শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠের প্রথম নারী উপাচার্য বলেন, দেশে উচ্চশিার ইতিহাসে বুয়েটের রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। বিভিন্ন সময়ে নানা ঘাত-প্রতিঘাত এলেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই সব সমস্যার মোকাবিলা করেছি। বুয়েটে অতীতে বিভিন্ন কারণে শিকদের মধ্য যে দ্বন্দ্ব ছিল, আশা করি তা আর থাকবে না। সব শিকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বুয়েটের প্রতি মানুষের ভালোবাসার সঠিক মূল্যায়ন করাটাই আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বুয়েটের নবনিযুক্ত এ উপাচার্য আরও বলেন, সেশনজট নিরসনেও আমরা বাস্তবমুখী পদপে গ্রহণ করব। বিভিন্ন বিদেশি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিা চুক্তি, গবেষণার বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে বুয়েটকে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা থাকবে। এর বাইরে শিকদের বিভিন্ন গবেষণায় নানামুখী পদপে গ্রহণ করব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকদের প্রধান কাজ হচ্ছে গবেষণা। কিন্তু দিন দিন আমরা এসব থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি।
দেশসেরা এ কারিগরি বিদ্যাপীঠের উপাচার্য আরও বলেন, বেশ কিছু নতুন বিভাগ চালু করার পাশাপাশি আমরা বুয়েটকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সুদৃশ্য স্থাপনার মাধ্যমে বুয়েটকে নয়নাভিরাম করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি বুয়েট যেন নতুন কোনো সংকটে না পড়ে, এ জন্য শিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুনভাবে কাজ শুরুর কথাও জানান স্থাপত্য-বিশারদ এ অধ্যাপক।