মানব উন্নয়নে আরো এগিয়েছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ২০১৪ সালের যে মানব উন্নয়ন সূচক প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৮৭টি দেশের মধ্যে ১৪২ নম্বরে।

গতবারের মতো এবারো ‘দ্রুত এগিয়ে চলা’ ১৮ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে জাতিসংঘ। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৩ নম্বরে।

প্রত্যাশিত আয়ু, স্বাক্ষরতা, শিক্ষা এবং মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে সারাবিশ্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএনডিপি।

ইউএনডিপি বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।  ঢাকার ইউএনডিপির আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার, ইআরডি সচিব মেজবাহ উদ্দিন এতে উপস্থিত ছিলেন।

নিল ওয়াকার বলেন, “বাংলাদেশ যখন মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়েছে বেশির ভাগ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আগের জায়গাতে রয়েছে।

“বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকের ধারণাটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজে লাগাতে পারে।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মমুহূর্তে ৬৯ দশমিক ২ বছর প্রত্যাশিত আয়ু, জনপ্রতি গড়ে ৫ দশমিক ৮ বছর শিক্ষা গ্রহণ এবং দুই হাজার ৭১৩ ডলার মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই) নিয়ে মানব উন্নয়ন সূচকে এবার বাংলাদেশের স্কোর ০.৫৫৪।

আর এই সূচকে সবার ওপরে থাকা নরওয়ের স্কোর ০.৯৪৩।

গত বছরের সূচকে ০.৫১৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৩ নম্বরে। গত বছরের হিসাবে জন্মমুহূর্তে বাংলাদেশের একটি শিশুর প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৬৯ দশমিক ২ বছর, জনপ্রতি শিক্ষাগ্রহণের সময় ছিল গড়ে ৪ দশমিক ৮ বছর এবং মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই) ছিল এক হাজার ৭৮৫ ডলার।

ফাইল ছবি

ইউএনডিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে গত এক বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দারুণ উন্নতি দেখিয়েছে।

এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ নম্বরে, যেখানে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই রয়েছে ১২৭ নম্বরে।

এবারই প্রথম জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স নামে নতুন একটি সূচক চালু করেছে ইউএনডিপি, যাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ নম্বরে। এতে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিযঅর অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ নারী-পুরুষ বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

সার্বিক মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ৭৩ নম্বরে।

এই তালিকায় মালদ্বীপ ১০৩, ভারত ১৩৫, ভুটান ১৩৬, নেপাল ১৪৫, পাকিস্তান ১৪৬, আফগানিস্তান ১৬৯ এবং মিয়ানমার ১৫০ নম্বরে রয়েছে।

তালিকার সবার শেষ, অর্থাৎ ১৮৭ নম্বর স্থানে রয়েছে নাইজার।  আফ্রিকার এই দেশটির এক ধাপ অবনমন ঘটেছে।