নয় দেশের বাণিজ্য জোটে বাংলাদেশের লেনদেন বৃদ্ধি

বাংলাদেশসহ নয়টি দেশের অলিখিত বাণিজ্য জোট হিসেবে পরিচিত আকুতে (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) বাংলাদেশের লেনদেন চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রায় ৩১ শতাংশ বেড়েছে। আর এই সময়ে সার্বিকভাবে আকুর লেনদেন কমেছে ২৪ শতাংশ।ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আকুর সচিবালয়ের গত জুন মাসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।এতে দেখা যায়, আকুভুক্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ জানুয়ারি-জুন সময়ে প্রায় ৩১৫ কোটি ডলারের পণ্যসেবা আমদানি করেছে। আগের, অর্থাৎ ২০১৩ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ, আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।একই সময়ে আকুভুক্ত দেশগুলোয় আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যসেবা রপ্তানির পরিমাণ ছিল সাড়ে চার কোটি ডলার। তার আগের বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি ডলার। অর্থাৎ, রপ্তানি কমেছে ৪০ শতাংশ।সুদসহ আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে গত বছর আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৯ কোটি ২৫ লাখ ডলার, যা ২০১৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ের চেয়ে প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি গত বছরের প্রথম ছয় মাসে আকুতে বাংলাদেশের মোট লেনদেন ছিল ২৪৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ বাবদ লেনদেনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কারণ, আকুর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সদস্যদেশগুলোকে ঋণ দেওয়া হয়। পরে তা নিষ্পত্তি করা হয়। যারা ঋণ নেয়, তাদের সুদ দিতে হয়।সদস্যদেশগুলো প্রত্যেকেই ঋণ নেয়; আবার ঋণ প্রদানও করে। ঋণ প্রদানের চেয়ে ঋণ গ্রহণ বেশি হলে সুদ দিতে হয়। উল্টোটা হলে সুদ পাওয়া যায়।পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, এই সময়ে আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে শুধু ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়েছে। এদের মধ্যে পাকিস্তান বাদে প্রত্যেকের লেনদেন দুই কোটি ডলারের নিচে।মূলত, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের নানা ধরনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সদস্যদেশগুলোকে ইরানের সঙ্গে লেনদেনে নিরুৎসাহিত করেছে; যদিও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ সরাসরি ইরানের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য করে না।বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ—এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য।