বিশ্বের ৬০ ভাগ ইলিশই বাংলাদেশে উৎপাদন হয়

বিশ্বের মোট ইলিশের ৬০ ভাগই বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়। আর দেশে মোট মৎস্য উৎপন্নে ইলিশের অবদান শতকরা ১০ ভাগ। জিডিপিতে অবদান রাখছে ১ শতাংশ হারে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মৎস্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ইলিশ মাছ উৎপন্নের সফলতা ধরে রাখার জন্য দেশের ১৫টি জেলায় ২ লাখ ২৪ হাজার ১০২টি জেলে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশ উৎপন্নের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে।
‘অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মাছ চাষে সমাধান’ এই সস্নোগানকে সামনে রেখে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ মৎস্য সপ্তাহ।

তিনি বলেন, ‘মৎস্য খাত অতীতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই খাতে আরো সফলতা নিয়ে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপও ইতোমধ্য হাতে নেয়া হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। গত ৫ বছরে মৎস্য খাত থেকে গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।’

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য চাষ ও উৎপাদনের সফলতা হিসেবে জানানো হয়, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ জনসাধারণ মৎস্য কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। ২০০৮-০৯ সালে উৎপাদন ছিল ২৭ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। আগামী ২০২১ সালে ৪৫ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ জেলেকে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্য সম্ভাব্য ২০ লাখ জেলেকে পরিচয়পত্র দেয়া সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার (আজ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৪-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সকালে একটি শোভাযাত্রাও বের করা হয়। এ শোভাযাত্রা রাজধানীর প্রেসক্লাবসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে আবার মৎস্য ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন_ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মো. জাহেরসহ অন্য কর্মকর্তারা।