বর্তমান প্রতিবেদক
দেশে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমছে। দারিদ্র্য কমার বিষয়টি ইতিবাচক হলেও গতি পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, সর্বশেষ ২০১০ সালের এইচআইইএস অনুযায়ী দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৬ ভাগ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী রয়েছে। এ সময় ব্যুরো পরিচালিত এক জরিপের ফল থেকে জানানো হয়, প্রতি বছর ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমছে। সে হিসাবে ২০১৩ সালে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৬ দশমিক ৪ শতাংশে চলে এসেছিল।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সর্ম্পকিত শতভাগ নির্ভরযোগ্য তথ্য সরকারের হাতে নেই। এ জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত তথ্য সমন্বয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংক সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে ৩১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ২০১৩ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- একটি অত্যাধুনিক ডাটাবেজ তৈরি করা, বিভিন্ন কর্মসূচি প্রকল্পের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপজেলা থেকে সব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার উপযোগী করা, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি সঠিকভাবে অতিদরিদ্র ব্যক্তিকে লক্ষ্যভুক্ত করা এবং এজন্য একটি সহজতর কৌশল তৈরি করা। এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচির ওভারল্যাপিং পরিহার করা, একটি সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করতে এই ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে।
‘ডেভেলপমেন্ট অব দ্য বাংলাদেশ প্রোভার্টি ডাটাবেজ প্রকল্পের ইন্সেপশন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব নজিবুর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি (জিইডি) বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম ও ব্যুরোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।