ঢাকা: বাংলাদেশের ৭৪টি পণ্যের ক্ষেত্রে নেপাল শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে নেপালের ১০৮টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র এ কথা জানায়।
নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (ট্রেড প্রমোশন অ্যান্ড কালচার) খান মো. মইনুল হোসেন বলেন, ‘নেপাল সরকার ৭৪টি বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমোদন দিতে সম্মত হয়েছে।’
এর আগে বাংলাদেশ মোট ১৭৪টি পণ্য নেপালে শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিতে কাঠমান্ডু সরকারের প্রতি আবেদন জানায়। মইনুল হোসেন বলেন, নেপাল সরকার বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশী পণ্যের তালিকা ৭৪ থেকে বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর উভয় দেশ এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে বলে আমরা আশা করছি।’
বাংলাদেশে প্রবেশাধিকারের জন্য নেপালের ১০৮টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে যব, সবজি, মটরশুঁটি, গম, ফলমূল, জুস, ডেইরি ও হাতে বানানো পেপার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিজাত খাদ্য পণ্য, রেফ্রিজারেটর এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক গৃহসামগ্রী নেপালের বাজারে প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিতে ঢাকা কাঠমান্ডুকে প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রথম সচিব বলেন, বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত পণ্যের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রাণ কোম্পানির উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং ওয়ালটনের তৈরি ইলেকট্রনিক গৃহসামগ্রী রয়েছে।
নেপাল হলো দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
নেপাল বাংলাদেশ থেকে প্রধানত যেসব পণ্য আমদানি করে এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, তুলা, সোলার ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, প্রসাধনী সামগ্রী, কাঁচা পাঠ ও প্লাস্টিক ফার্নিচার।–বাসস