ঢাকা: নদী ভাঙন থেকে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে ৮২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে‘" ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরিজোন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ফেইজ-১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় নদী ভাঙন থেকে জনসাধারণকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার শেরে বাংলানগর পরিকল্পনা কমিশন এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভায় এটিসহ ২ হাজার ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ৬টি প্রকল্প পাস হয়।
মোট ৮২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্পটিতে সরকারি অর্থায়ন ১৮৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল এপ্রিল , ২০১৪ হতে ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত ধরা হয়েছে। প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘নদী ভাঙনের হাত থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করাসহ স্ট্রাট্রেজিক পয়েন্টগুলো ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
পাসকৃত প্রকল্প আরো ৫টি হলো ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট(আইএসপি) ফর মুহুরি ইরিগেশন প্রজেক্ট, পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প, চিম্বুক-রুম সড়কের ২৪তম কি.মি.(রুমা সংযোগ সড়কের ২য় কি.মি)-এ সাংগু নদীর
উপর ২১৭.১৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর (রুমা সেতুর) অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প।
মোট প্রকল্প বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৯৯৭ কোটি ২৮লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ৬টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ৪টি এবং ২টি সংশোধিত প্রকল্প। ৪টি প্রকল্প সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট(আইএসপি)ফর মুহুরি ইরিগেশন প্রজেক্ট’ শীর্ষক ৪৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অপর একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়। ৮৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার জিওবি অর্থায়ন ও ৩৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প সাহায্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৯ পর্যন্ত।
প্রকল্পটির যৌক্তিকতা নিয়ে বলতে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘খাল দিয়ে নিচ থেকে পাইপ দিয়ে পাম্পিং করে সেচের পানির ব্যবস্থা করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।’
এছাড়াও ১২২ কোটি ১৪ টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক অপর একটি প্রকল্প জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৬ সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।
‘শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পও পাস হয়। প্রকল্পটি ৫৪ কোটি ৭২ লাখ সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৭ পর্যন্ত। এছাড়াও একনেক সভায় অপর দু’টি সংশোধিত প্রকল্প পাস।
প্রকল্পটি দু’টি হচ্ছে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘চিম্বুক-রুম সড়কের ২৪তম কি.মি. (রুমা সংযোগ সড়কের ২য় কি.মি)-এ সাংগু নদীর উপর ২১৭.১৫ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর (রুমা
সেতুর) অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন পণ্য হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে তৈরি করার অংশ হিসেবে এ মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। মোট ৩টি পর্যায়ে ৮০ কি. মি. দৈর্ঘ্যর এ রাস্তাটি সওজ বাস্তবায়ন করবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডাক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম, অর্থ ও
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। – See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/299768.html#sthash.FwYI8Fxu.dpuf