বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৪ শতাংশ

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতা প্রবৃদ্ধি অর্জন ব্যাহত করেছে। এর পাশাপাশি রেমিট্যান্সপ্রবাহ হ্রাস ও মূল্যস্ফীতির চাপ কমিয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা। গত মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫.৪ শতাংশ, যা ২০১০ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশের কম। তবে আগামী দিনগুলোয় অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাড়ায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আসবে ৫.৯ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আসবে ৬.২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাত এবং শিল্প-কারখানায় মজুরি বৃদ্ধিসহ কমপ্লায়েন্সে ইস্যুর কারণে রপ্তানি কমলেও তা আবার বাড়ছে। তবে মজুরি বাড়ার বিপরীতে উৎপাদনশীলতা না বাড়ায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমাবে এ দেশের। রপ্তানির পাশাপাশি জোরালো প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা অনেকাংশে নির্ভর করে কৃষি উৎপাদন ও রেমিট্যান্সের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি কমলেও রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে চতুর্থ প্রান্তিকে তা আবার বেড়ে যায়। বলা হয়, অর্থনৈতিক দুর্বল প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতেও। এতে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

ষাণ্মাসিক এ প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে বলা হয়, ২০১৩ অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৪.৭ শতাংশ, যা ২০০৩-১২ সালের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে ২.৬ শতাংশ পয়েন্ট কম। মূলত ভারতে শিল্পোৎপাদন কমার পাশাপাশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের সার্বিক অর্জন কমেছে। তবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি ২০১৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি আসবে ৫.৩ শতাংশ। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ শতাংশ করে আসবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ ভারতের ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৭ শতাংশ। আগের অর্থবছরে এসেছিল ৪.৫ শতাংশ। টানা দুই বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে থাকার পর আশা করা হচ্ছে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫ শতাংশ। এ সময় দেশটিতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়বে। পরবর্তী সময়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আসেব ৬.৩ শতাংশ।