বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছয় মাসের আমদানি ব্যয়ের জন্য যথেষ্ট – অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মিটানোর জন্য যথেষ্ট। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভ বৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৮ হাজার ২৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এযাবত্কালের সর্বোচ্চ। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বা শৃঙ্খলা বিরাজমান। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ, যেমন- বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি এবং সমবায় অধিদপ্তরকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে।
আব্দুল মুহিত জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জড়িত কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল কর্তৃক সম্পাদিত পরিদর্শনে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ অন্য যে সমস্ত ঋণ হিসাবে জালিয়াতি উদঘাটিত হয়েছে তাদের সঙ্গে যে সমস্ত কর্মকর্তার যোগসাজশ ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কেসসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে। দুদক জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ইত্তেফাক রিপোর্ট