চলতি বছরের মার্চে রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়) প্রবাহ সামান্য বেড়েছে। মার্চে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংক ব্যবস্থায় দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ১২৭ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীদের পাঠানোর বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১২৬ কোটি ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার। অথ্যাৎ ফেব্রুয়ারি তুলনায় মার্চে রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রফতানিতে অনীহার কারণে চলতি অর্থবছরে রেমিটেন্স ৩ শতাংশ কমবে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নেয়ায় আগামী অর্থবছরে রেমিটেন্সে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৩৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ৩০টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮৪ কোটি ৬ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে সব চেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। ব্যাংটির মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ৩৪ কোটি মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংক, বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিটেন্স পাঠায়নি প্রবাসিরা। এছাড়া নতুন ব্যাংকগুলোতেও এখন পর্যন্ত রেমিটেন্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। আর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৮৪ কোটি ডলার।
বর্তমানে ১৫৭টি দেশে ৮৫ লাখের মতো বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছেন।
কাগজ প্রতিবেদক :