‘সোনার বাংলা’ বিশ্বময়

সত্তরোর্ধ্ব মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেনের চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত অশ্রু। আবেগ-উদ্বেল কণ্ঠে লাখো মানুষের সঙ্গে তিনি গাইছেন ‘আমার সোনার বাংলা…মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন, ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি।’ আবেগমথিত কথাগুলো তাঁর গলা থেকে বের হচ্ছিল কান্নার আর্দ্রতা নিয়ে। সাগরের ঢেউয়ের মতো লাখো মানুষের কণ্ঠ ছুঁয়ে, চোখ ভিজিয়ে, গায়ে কাঁটা তুলে সেই সুর যেন ছড়িয়ে গেল সুদূরে। গান শেষ হলে মনির চোখ মুছে তেজোদীপ্ত কণ্ঠে স্লোগান দিলেন, ‘জয় বাংলা’।
স্বাধীনতার ৪৩তম বার্ষিকীতে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গাওয়ার অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার লোকারণ্য হয়েছিল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের বিস্তৃত প্রাঙ্গণ। জনসমুদ্রে হাতে হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। মাথায় জাতির জনকের প্রতিকৃতি আঁকা লাল-সবুজ রঙের ক্যাপ।
ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১১টা ২০ মিনিট। লাল-সবুজের সমারোহে সমবেত দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী। একসঙ্গে সবাই গেয়ে উঠল প্রাণের সুর ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে শিল্পী-শ্রমিক-পেশাজীবী-শিক্ষার্থী-সৈনিক- সর্বস্তরের মানুষের কণ্ঠ থেকে কণ্ঠে অনুরণিত হলো মোহন সুরের এই গান। কেবল প্যারেড ময়দান নয়, একই সঙ্গে এক সুরে বাঁধা পড়ল দেশ-বিদেশের কোটি বাঙালি। ‘আমার সোনার বাংলা’ এখন বিশ্বে একসঙ্গে সর্বাধিক লোকের কণ্ঠে গাওয়া জাতীয় সংগীত। এই স্বীকৃতি এখন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
‘সোনার বাংলা’ বিশ্বময়
গান গাওয়া শেষ হলে মনির হোসেন বললেন, ‘জীবন বাজি রেখে একদিন যুদ্ধ করেছিলাম। এনেছিলাম একটি দেশ, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি জাতীয় সংগীত। আজ দেশের মানুষ কবিগুরুর সেই গানটি একসঙ্গে গাইল। এমন দৃশ্য কখনো দেখব ভাবিনি। এখন মরে গেলেও শান্তি পাব।’
গতকাল রাজধানীর সব পথ যেন এসে মিশেছিল শেরে বাংলানগরের জাতীয় প্যারেড ময়দানে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে জনস্রোতে ভেসে আসতে থাকে সর্বস্তরের মানুষ। মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, সংস্কৃতিকর্মী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতের শ্রমিক, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য- সবাই ছিলেন জনস্রোতে একাকার। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে সংলগ্ন পাঁচটি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ভোর থেকেই।
সকাল সাড়ে ৬টায় খুলে দেওয়া হয় প্যারেড ময়দানের প্রবেশপথ। ১৫টি সেক্টরে ভাগ করে ১৭০টি নির্দিষ্ট প্রবেশপথ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়। প্রবেশমুখেই সবার হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেট, ব্যাগ, টুপি, পতাকা ও জাতীয় সংগীত গাওয়ার নিয়ামাবলি। ছিল স্যালাইন ও প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সবাইকে নির্ধারিত প্রবেশপথ দিয়ে নির্দিষ্ট সেক্টরে নিয়ে যান।
প্রতিটি প্রবেশপথে ছিল লোক গণনার স্বয়ংক্রিয় মেশিন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কিছুক্ষণ পর পর জানিয়ে দেওয়া হয় জনসমাগমের সংখ্যা। সকাল ৮টা ২৩ মিনিটেই ভারতের গড়া জাতীয় সংগীতের রেকর্ড এক লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় প্যারেড গ্রাউন্ডে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে লোকের সংখ্যা। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে উপস্থিত হয় এক লাখ ৬০ হাজার জন, ৯টা ১২ মিনিটে এক লাখ ৮০ হাজার, ৯টা ৫০ মিনিটে দুই লাখ ১০ হাজার। ১০টায় দুই লাখ ১৫ হাজার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে পৌঁছান ১০টা ৩৪ মিনিটে। তখন জমায়েত ছিল দুই লাখ ৩১ হাজার মানুষের।
শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতেই নির্বাচিত ১২০ জন শিল্পী গেয়ে শোনান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ গানটি। এরপর সবাই মিলে মহড়া দেন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের। ১০টা ৫৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রথম মহড়া। এতে অংশ নেয় দুই লাখ ৫১ হাজার মানুষ। দ্বিতীয়বার যখন মহড়া অনুষ্ঠিত হয় তখন লাখ লাখ মানুষের জমায়েতে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। জাতীয় সংগীতের সুরের সঙ্গে কেবল ছিল আকাশে উড্ডিন হেলিকপ্টারের শব্দ। মহড়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে উপস্থাপক আফজাল হোসেন জানান, আর অল্প কিছুক্ষণ পরেই বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে হাঁটবে বাংলাদেশ। মঞ্চে তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যামের পরিচালনায় মিতা হকের নেতৃত্বে প্রস্তুত ১২০ জন দেশবরেণ্য শিল্পী। সামনে তপ্ত রোদকে উপেক্ষা করে পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ছোট্ট একটি প্রিলিউডের পর কণ্ঠে কণ্ঠে উচ্চারিত হলো ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি/ চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি, সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’ এর পরই সমস্বরে ধ্বনিত হলো মুক্তিযুদ্ধের সেই অমর স্লোগান- ‘জয় বাংলা’।
পরিসংখ্যান অনুসারে এ সময়  উপস্থিতির সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জনে। আর প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশেও ছিল হাজার হাজার মানুষ, যারা শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার সুযোগ পায়নি। কিভাবে ঢুকতে হবে, কি করতে হবে তা জানা ছিল না তাদের। জাতীয় সংগীত যখন গাওয়া হচ্ছিল তখনো মিরপুর ১০ থেকে খেজুর বাগান পর্যন্ত রাস্তা, বিজয় সরণি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাহাঙ্গীর গেট, উল্টো দিকে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তা, ক্রিসেন্ট রোডে ছিল মানুষ আর মানুষ। তারা প্যারেড গ্রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আনুষ্ঠানিক গণনার বাইরেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তিন লাখ ২৫ হাজারের অধিক মানুষ। রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেস কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সব শর্তও সুচারুরূপে পালিত হয়েছে।
প্যারেড গ্রাউন্ডের বাইরের এই মানুষ এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে যেখানে ছিল, সবাই দাঁড়িয়ে শামিল হয়ে কণ্ঠ ছেড়ে গেয়েছে জাতীয় সংগীত। কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের সঙ্গে একই সময় সারা দেশের প্রতিটি কোণে এবং সারা বিশ্বের বাংলাদেশি মিশনগুলোতেও এ কর্মসূচি পালিত হয়।
একই সময় মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান সাকিব-মুশফিক-মাশরাফিরা। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে ১১টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেন থামিয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এ আয়োজনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় যাত্রীদের। ট্রেনের মধ্যে স্পিকারে প্রচার করা হয় মূল অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম অফিসে কর্মরতরাও দাঁড়িয়ে একাত্ম প্রকাশ করেন জাতীয় সংগীত গাওয়ার এই কর্মসূচিতে। একই সঙ্গে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানা গেছে।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগেই মঞ্চে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির দুই পাশে জাতীয় চার নেতা ও সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয় মঞ্চটি। এর দুই পাশে ছিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এই মঞ্চ ছিল ময়দানের পশ্চিম পাশে। তার ঠিক পূর্ব পাশে ছিল আরেকটি মঞ্চ, যেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই সুজেয় শ্যামের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, বুলবুল মহলানবীশ, মালা খুররম ও শাহীন সামাদ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন। ‘ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি গাওয়ার মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর তাঁরা গেয়ে শোনান ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘দুর্গম গিরি কান্তার’ ও ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ গানগুলো। এরপর মঞ্চে আসেন নবীন প্রজন্মের শিল্পী কণা। এরপর একে একে সংগীত পরিবেশন করেন শুভ্র দেব, কনক চাঁপার মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি সব সময় ইতিহাস সৃষ্টি করে। বাঙালি আবার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। আমাদের জাতীয় সংগীত- যে সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ভালোবাসা জানাই আমাদের দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি। যে জাতীয় সংগীত আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে অগ্নিশিখায় প্রজ্বলিত করে, সেই জাতীয় সংগীত লাখো কণ্ঠে আমরা গাইব- যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’
সবাই মিলে জাতীয় সংগীত গেয়ে স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের চেতনাকে শাণিত করে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার চেতনায় উজ্জীবিত করব।’
এরপর তিনি তাঁর জন্য নির্দিষ্ট মঞ্চে দাঁড়িয়ে আড়াই লাখের বেশি মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে থাকেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল এম ইনামুল বারী প্রমুখ। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে রেকর্ড গড়ার পর মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে মমতাজ ও এলআরবি ব্যান্ড।
কর্মসূচি আয়োজনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফিরে গেছে। অংশগ্রহণকারীদের ধীরগতিতে ভেতরে প্রবেশ করানোর জন্য অনেকেই ফিরে গেছে গেটের বাইরে থেকে। ফলে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে জাতীয় সংগীত গাওয়া হলেও অনেকেই প্রবেশ করতে পারেনি মূল আয়োজনে। প্যারেড গ্রাউন্ডের প্রবেশপথে দেওয়া প্যাকেটে গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক জামায়াতী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত ইবনে সিনার স্যালাইন দেখে অনেকেই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়।
প্যারেড গ্রাউন্ডের চারপাশে, বিশেষ করে বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি, ফার্মগেট, খামারবাড়ী, জাহাঙ্গীর গেট পার হয়ে মহাখালী রেলক্রসিং, আগারগাঁও হয়ে শিশুমেলা, মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে আসাদ গেট পর্যন্ত মানুষ দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে থাকে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগে থেকেই রাজধানীতে চলাচলকারী গণপরিবহন ও অন্যান্য পরিবহন থেমে যায় এবং এসব পরিবহনে অবস্থানরত যাত্রীরাও অংশ নেয় জাতীয় সংগীত গাওয়ার এই কর্মসূচিতে। এই বিশাল আয়োজনে প্রকৃতিও সহায়ক ছিল। চৈত্রের দাবদাহের বদলে ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন ছায়াঢাকা পরিবেশ। তবে সাড়ে ১০টার দিকে সূর্য দেখা দিলে খরতাপ বাড়তে থাকে। শেষ দিকে প্যারেড গ্রাউন্ডে আসা অনেকেই প্রচণ্ড রোদে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ রকম অন্তত ৩০ জনকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ আয়োজনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল সশস্ত্র বাহিনী।