পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি গ্রামের কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরপলাশ, সুখিয়া, কোদালিয়া, বড় আজলদী, হরশী, তারাকান্দি, বাহরামখানপাড়া, বিশ্বনাথপুর ও চন্ডিপাশা গ্রামের কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বর্তমানে তারা একটি ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং একটি বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে বিক্রি করছে। এখানকার ফুলকপি ও বাঁধাকপি খেতে সুস্বাদু ও আকারে বড় হওয়ায় পাইকাররা কপি কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।
উপজেলার চরপলাশ গ্রামের চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি গ্রাম এবং শহরের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। যার ফলে এ নয়টি গ্রামের ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কপি চাষের খরচ সম্পর্কে কৃষকরা আরও জানায়, ভাদ্র মাসের শেষ দিকে ফুল ও বাঁধাকপির বীজতলা তৈরি করা হয়। ২০ থেকে ২৫ দিন পর জমিতে চারা রোপণ করা হয়। এককানি (৩৫ শতক) জমিতে ৪ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা কপি বিক্রি করা যায়।
উল্লেখ্য, দুই দশক আগে উল্লেখিত গ্রামগুলোতে অনেক কৃষকের অভাব-অনটনই ছিল নিত্যসঙ্গী। ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের ফলে অনেকেরই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সফল চাষিদের অনুসরণ করে গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক ও প্রান্তিক চাষিরাও এখন ফুল ও বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকে পড়েছে।