এক বছরের রিজার্ভ বেড়েছে ৪২ শতাংশ
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০১৩ বছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যা ২০১২ সাল শেষে ছিল এক হাজার ২৭৫ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ রিজার্ভ কাজে লাগানো না গেলে অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছে অর্থনীতিবিদরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ হিসাবে প্রথম ৬ মাসে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পরবর্তী ৬ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বছর শেষে রিজার্ভের যে বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে তার পরিমাণ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। আর এ রিজার্ভ দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী একটি দেশের রিজার্ভ দিয়ে ৩ মাসের ব্যয় পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকলে সে রিজার্ভকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। তাছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রমাগত ডলার কিনে চলেছে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। এ রিজার্ভকে যদি ব্যবহার করা না যায় তাহলে তা শুধু অলসই পড়ে থাকবে, দেশের কোন কাজে লাগবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো, আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়া এবং রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন বাড়ছে। বহির্বিশ্বে আমদানি করা কিছু পণ্যের দাম কমেছে। যার কারণে টাকার হিসাবে আমদানি ব্যয় কমেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকরী পদক্ষেপ, রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আয়, ইতিবাচক রপ্তানি বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে চালের আমদানি হরাস এবং জ্বালানি তেল আমদানিতে আইডিবির ঋণ সহায়তায় আমদানি ব্যয়ের চাপ হরাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কারণ এই রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় স্বস্তিদায়ক এবং আরও রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ রিজার্ভ বৃদ্ধি সম্পর্কে বলেন, ‘রিজার্ভ বেশি হওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো। কিন্তু সে রিজার্ভকে যদি কাজে না লাগানো যায়, তাহলে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের এ রিজার্ভের বড় একটি অংশ রেমিটেন্স থেকে আসে। রেমিটেন্সের অর্থ গ্রাহকদের ডলারের বিপরীতে টাকায় রূপান্তরিত করে দিতে হয়। অনুৎপাদনশীল খাতে এ টাকা ব্যবহার করলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় আমাদের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমছে। এসব কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজ বলেন, আমাদের দেশে রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভালো দিক হলেও এ রিজার্ভ নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এটাকে কাজে লাগাতে না পারলে পরবর্তীতে এটা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। আর ২১ অক্টোবর রিজার্ভ এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। ৭ মে এক হাজার ৫০০ কোটি এবং ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর এক হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ হিসাবে প্রথম ৬ মাসে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পরবর্তী ৬ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বছর শেষে রিজার্ভের যে বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে তার পরিমাণ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। আর এ রিজার্ভ দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। তবে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী একটি দেশের রিজার্ভ দিয়ে ৩ মাসের ব্যয় পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকলে সে রিজার্ভকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। তাছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রমাগত ডলার কিনে চলেছে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। এ রিজার্ভকে যদি ব্যবহার করা না যায় তাহলে তা শুধু অলসই পড়ে থাকবে, দেশের কোন কাজে লাগবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ভালো, আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়া এবং রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন বাড়ছে। বহির্বিশ্বে আমদানি করা কিছু পণ্যের দাম কমেছে। যার কারণে টাকার হিসাবে আমদানি ব্যয় কমেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যকরী পদক্ষেপ, রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আয়, ইতিবাচক রপ্তানি বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে চালের আমদানি হরাস এবং জ্বালানি তেল আমদানিতে আইডিবির ঋণ সহায়তায় আমদানি ব্যয়ের চাপ হরাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কারণ এই রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিবেচনায় স্বস্তিদায়ক এবং আরও রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ রিজার্ভ বৃদ্ধি সম্পর্কে বলেন, ‘রিজার্ভ বেশি হওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো। কিন্তু সে রিজার্ভকে যদি কাজে না লাগানো যায়, তাহলে অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমাদের এ রিজার্ভের বড় একটি অংশ রেমিটেন্স থেকে আসে। রেমিটেন্সের অর্থ গ্রাহকদের ডলারের বিপরীতে টাকায় রূপান্তরিত করে দিতে হয়। অনুৎপাদনশীল খাতে এ টাকা ব্যবহার করলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় আমাদের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমছে। এসব কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজ বলেন, আমাদের দেশে রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভালো দিক হলেও এ রিজার্ভ নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এটাকে কাজে লাগাতে না পারলে পরবর্তীতে এটা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। আর ২১ অক্টোবর রিজার্ভ এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। ৭ মে এক হাজার ৫০০ কোটি এবং ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর এক হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করে।
– See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDFfMDVfMTRfMV8yNF8xXzE1MjA3Ng==#sthash.1MhRzZ9I.dpuf