শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ। ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, বস্ত্রখাতসহ বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধির দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা দেনদেন হয়েছে। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ লেনদেন। এর আগে গত ১৭ জুলাই সেখানে মোট ৯৮৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
গতকাল বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৫৮ পয়েন্ট। মোট এক দশমিক ৩৮ শতাংশ হারে এ সূচক বেড়েছে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৩৯ পয়েন্ট। এর আগে মঙ্গলবার ডিএসইর এই সূচক ছিল ৪ হাজার ৩৮১ পয়েন্ট। এদিকে প্রধান সূচকের মতো বাছাই সূচকও বেড়েছে। সেখানকার বাছাই সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়েছে। মঙ্গলবারে ডিএসইতে হাতবদল হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫৪টি কোম্পানির দর এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি কোম্পানির দর। ডিএসইতে মোট ৮৮৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১০২ কোটি টাকা বেশি। মঙ্গলবারে সেখানে মোট ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো: গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইউনাইটেড এয়ার, আর এন স্পিনিং, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, অলিম্পিক, যমুনা অয়েল, বেক্সিমকো এবং গোল্ডেন সন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচক বেড়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার দিনে সেখানে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়েছে। সারাদিন সূচকের ঊর্ধ্বগতি শেষে সিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৭৪৬ পয়েন্টে। সিএসইর বাছাই সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৪০৩ পয়েন্ট। সিএসইতে মোট ৮৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। আগের দিন সেখানে ৭২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৬২টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো, আর এন স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ম্যাকসন স্পিনিং, গ্রামীণ ফোন, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, পদ্মা অয়েল এবং আফতাব অটোস।
ইত্তেফাক রিপোর্ট