আগস্টে পয়েন্ট টু পয়েন্টে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এর আগে জুলাই মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব ক্ষেত্রেই পয়েন্ট টু পয়েন্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, গত তিন বছর ধরেই দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রাসমান রয়েছে। এ থেকে বলা যায় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে রেখে বাজার স্থিতিশীল ছিল। এটি সরকারের অন্যতম একটি সাফল্য। তবে পয়েন্ট টু পয়েন্টে কমলেও মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর ধরে এ হিসাব প্রকাশ করেছে বিবিএস। আগে ১৯৯৫-৯৬ এবং ২০০৫-০৬ উভয় ভিত্তিবছর ধরেই মূল্যস্ফীতির হিসাব প্রকাশ করা হলেও এবারই প্রথম শুধু নতুন ভিত্তিবছর হিসেবেই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
বিবিএস জানায়, আগস্ট মাসে জাতীয়ভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টে দাঁড়িছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা জুলাই মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জুনে ছিল ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গ্রামে জাতীয়ভাবে আগস্টে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং জুনে ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশে, যা জুলাইতে ছিল ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং জুনে ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
শহরে আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং জুনে ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যষ্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা জুলাইতে ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং জুনে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং জুনে ছিল ৮ দশমিক ২১ শতাংশ।