ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি খাতের উন্নয়নই প্রধান গুরুত্বের দাবি রাখে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল কৃষি খাতে অনুন্নত হিসেবে পরিচিত হলেও প্রাকৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই অঞ্চলকে সঠিক পরিকল্পনার আওতায় আনা হলে টেকসই এবং বৃহৎ উন্নয়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘দক্ষিণবঙ্গের কৃষি উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নে ১০ বছরে ২৬টি প্রোগ্রামের জন্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)-এর সহায়তায় দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের নিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, মৎস্যও প্রাণী মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা একযোগে কাজ করবে এই প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জনে।
তিনি বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগ, সম্পদের সল্পতাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এই অর্জন ধরে রাখতে হলে দেশের জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই হারে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়ন হলে কেবল ফসল নয়, প্রাণী এবং মৎস্য উৎপাদনেও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে দেখা যায় সেই অঞ্চলে প্রকল্পের আওতায় যে উন্নয়ন হয়েছিল তার চিহ্নও পাওয়া যায় না। আমি আশা করি আগামীতে যে দলই সরকার ক্ষমতায় আসুক দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণি মন্ত্রী মো. আব্দুল হাই, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আলতাফ আলী, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রোবসন বক্তব্য রাখেন।